BRAKING NEWS

পারস্পরিক সম্মান ও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে ভারত সফরে এলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি

নয়াদিল্লি, ৬ এপ্রিল (হি.স.) : ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের মাধ্যমে নেপাল এগিয়ে যেতে চায়। এমনই বার্তা দিয়েই দিল্লি পৌঁছলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷ রাজধানীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ দু’জনের মধ্যে বিশেষ সৌহার্দ্যমূলক বাক্যালাপও হয়৷ রাষ্ট্রপতি ভবনে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়৷ পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি সঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গিয়েছ৷ পারস্পরিক সম্মান ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক থাকুক৷ এই বার্তা দিয়েই দিল্লি পৌঁছলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি৷
কাঠমান্ডু থেকে নয়াদিল্লি আসার আগেই ভারতকে কূটনৈতিক বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওলি জানান, নিখাদ বন্ধুত্বের মাধ্যমে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এই বার্তায় প্রচ্ছন্নভাবেই দিল্লিকে কড়া কথা বলা হয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ কূটনৈতিক ধারণা, মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের সঙ্গে নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্ক গরম হয়েছে৷ এই সুযোগ কাজে নিতে মরিয়া চিন৷ বেজিং থেকে লাগাতার সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ নেপালের মাটিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগে রাজি চিন সরকার৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে নেপালের তরাই এলাকায় ভারতের অযাচিত ‘নাক গলানো’-কে ভাল চোখে দেখেনি কাঠমাণ্ডু৷ অার এথেকেই ক্রমশ গরম হয়েছে ভারত-নেপাল সম্পর্ক৷ আর সম্পর্ক মজবুত করতে তাই বারবার কাঠমান্ডু সফর করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ নেপালের মাটিতে চিনের অবস্থান পাকা হলে চিন্তা বাড়বে নয়াদিল্লির৷ এই অবস্থার মধ্যেই ফের কুর্সিতে বসা নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনেকরা হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *