BRAKING NEWS

বন্দি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জনতা পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সম্বলপুর

ভুবনেশ্বর, ৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত ওডিশার সম্বলপুর | পুলিশ লক আপে বন্দি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে জনতা পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সম্বলপুরের এইনথাপালি এলাকা ৷
বৃহস্পতিবার রাতে চুরির অভিযোগে ধৃত এক বন্দীর পুলিশ লক আপে তার মৃত্যু হলে শুক্রবার সকালে উত্তেজিত জনতা এইনথাপালি থানায় ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়৷ আগুন ধরানো হয় পুলিশের গাড়িতেও৷ জনতার ছোঁড়া পাথরের ঘায়ে আহত হন পাঁচ জন পুলিশ কর্মী | বন্দী মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিপি থানার ওসি সহ তিন জনকে সাসপেন্ড করেন৷
ঘটনার সূত্রপাত এক বন্দি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে৷ জানাগেছে এইনথাপালি থানার পুলিশ চুরির অভিযোগে ২২ বছরের অভিনাশ মুন্ডাকে গ্রেফতার করে৷ বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ লক আপে তার মৃত্যু হয়৷ পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করেছে সে কিন্তু ভালুপালির বাসিন্দাদের দাবি পুলিশই পিটিয়ে মেরে ফেলে অভিনাশকে৷ শুক্রবার সকালে এই খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা৷ ক্ষুব্ধ জনতা থানায় ভাঙচুর চালায় ৷ গাড়ি ও থানার ভিতরে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ আগুনের জেরে আলমারিতে থাকা মামলার অনেক নথি পুড়ে ছাই যায়৷ এছাড়া আরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ পুলিশ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে তাদেরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারে জনতা৷ তাতে পাঁচ জন কনস্টেবল আহত হয়েছে৷
বন্দী মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিপি আর পি শর্মা থানার ওসি সহ তিন জনকে সাসপেন্ড করেন৷ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, বন্দি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখবে মানবাধিকার সুরক্ষা বিভাগ৷ এই ঘটনা নিয়ে আইজি সুশান্ত নাথ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে৷ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে পুড়িয়ে দেওয়া ও পুলিশকে মারার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এদিকে এই ঘটনায় এক সংগঠনের তরফ থেকে ওডিশা মানবাধিকার কমিশনে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে৷ সেখানে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে৷ মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *