BRAKING NEWS

সব সমস্যার সমাধান, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক কক্ষে কাজ চলছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

নয়াদিল্লি, ১৫ জানুয়ারি (হি.স.) : সুপ্রিমকোর্টের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন, “চায়ের টেবিলে বৈঠকের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।” সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে অন্য চার বিচারপতি কথাও বলেছেন। পরে ওই চার বিচারপতি কোর্ট রুমে প্রবেশ করলে তাঁদের দেখে হাসেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। এবিষয়ে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মানান মিশ্র বলেন, “অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা হয়েছিল। এখন সব সমস্যা মিটে গেছে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক কক্ষে কাজ চলছে।”

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন চার বর্ষীয়ান বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন বি লকুর ও কুরিয়েন জোসেফ। তাঁদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে সব ঠিকঠাক চলছে না। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এই প্রথম যখন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আদালতেরই অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের বিরুদ্ধে সরব হলেন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর পর জে চেলামেশ্বর হলেন শীর্ষ আদালতের সেকেন্ড সিনিয়র বিচারপতি।

জে চেলামেশ্বর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শীর্ষ আদালতের প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে আমাদের মোটেই ভালো লাগছে না। কিন্তু এছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। কারণ আমরা দেশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধ। আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, শীর্ষ আদালতের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাজকর্ম মোটেই ঠিকঠাক চলছে না।”

সাংবাদিক বৈঠকে চার বিচারপতি সাংবাদিকদের একটি চিঠির কপি দেখান। চিঠিটি তাঁরা প্রায় দুই মাস আগে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে চার বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতিকে লিখেছেন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারের ভার পছন্দের বিচারপতিদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সংবেদনশীল মামলার বিচারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে জুনিয়র বিচারপতিদের হাতে।

জে চেলামেশ্বর এবং অন্য তিন বিচারপতি বলেন, “পরিস্থিতির যাতে উন্নতি হয় সেজন্য আমরা প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি একাধিকবার তাঁকে শীর্ষ আদালতের এই সমস্ত অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করেছি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সোমবার সকালে আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকও করি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে তা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক নিস্ফলা হওয়ার পরেই আমরা ঠিক করি সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরব।”

সাংবাদিকরা জে চেলামেশ্বর এবং অন্য তিন বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন, সেক্ষেত্রে কি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে “ইমপিচ” করা উচিত ? প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে চার বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর, “সেটা দেশ ঠিক করবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *