BRAKING NEWS

বিলোনীয়ায় নিখোঁজ কিশোরী উদ্ধার দিল্লীতে প্রলোভনের ফাঁদ তৈরী করেছিল দুই মহিলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ২ ডিসেম্বর৷৷ বিলোনীয়ার কিশোরী উদ্ধার দিল্লীতে৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দিল্লীতে ধরা পড়েছিল ঐ কিশোরী৷ তার নাম জন্নত অখতার৷ বয়স ১৫৷ চারমাস পর বাড়িতে ফিরেছে ঐ কিশোরী৷ দুই মহিলার প্রলোভনে পড়ে ঐ কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়েছিল৷ শুক্রবার রাতে বিলোনীয়া মহিলা থানার পুলিশ ঐ কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে আসে৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলোনীয়া থানার অধীন দক্ষিণ মতাই গ্রামের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা জন্নত আখতার চার মাস আগে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে সাত হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়৷ বহু জায়গায় খোঁজ খবর করে তার কোন হদিশ পাওয়া যায়নি৷ বিলোনীয়া মহিলা থানাকেও জানানো হয় ঐ কিশোরীর নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়টি৷ মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা তাই পুলিশ নিখোঁজ সংক্রান্ত ডায়রি না নিয়ে সরাসরি এফআইআর গ্রহণ করে৷ সেই মোতাবেক পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করে কোন সন্ধান পায়নি ঐ কিশোরীর৷ সম্প্রতি দিল্লীর কমলানগর থানা থেকে বিলোনীয়া থানায় বার্তা পাঠানো হয় যে জন্নত আখতার নামে এক কিশোরীকে আটক করা হয়েছে৷ উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে পুলিশ যাতে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দিল্লীর সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে এবং জন্নতকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়৷ সেই মোতাবেক বিলোনীয়া মহিলা থানার এসআই স্বপ্ণা ভৌমিক এবং কনস্টেবল মারলিং মারাক কিশোরীর মাকে সাথে নিয়ে বিমানে দিল্লী পৌঁছেন ২৩ নভেম্বর৷ ২৪ নভেম্বর কমলানগর থানায় গিয়ে যোগাযোগ করেন এবং সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সালাম বালক ট্রস্ট নামের একটি হোম থেকে জন্নতকে নিয়ে আগারতলার উদ্দেশ্যে আসেন রাজধানী এক্সপ্রেসে আসেন৷ শুক্রবার রাতে তারা আগরতলায় পৌঁছেন৷ ঐ কিশোরীর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল সাত হাজার টাকা নিয়ে৷ তাকে প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল দিল্লীতে ভাল কাজের ব্যবস্থা করে দেবে৷ বিটারবনের এক মহিলা তাকে এই প্রলোভন দিয়েছিল৷ ঐ মহিলার সাথে গুয়াহাটির আরও এক মহিলা ছিল৷ তারা ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেসে করে দিল্লী চলে যায়৷ দিল্লীর আনন্দবিহার স্টেশনে নামার পর এই তিনজনের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় আরপিএফ আটক করে তিনজনকে৷ তবে প্রথমে আটক করা হয় জন্নতকে৷ তাকে আটক করার সাথে সাথে ঐ দুই মহিলা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ আরপিএফ তাদেরও গ্রেপ্তার করে৷ তাদেরকে পাঠানো হয় উত্তর দিল্লীর রূপনগর থানায়৷ সেখানে তথ্য তল্লাসী করে তাদের পাঠানো হয় কিলকারী চাইল্ড হোমে৷ সেখানে দুইমাস রাখা হয় তাদের৷ এই সময়ের মধ্যে বিটারবন ও গুয়াহাটির দুই মহিলার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়৷ কিন্তু, জন্নতের বাড়ির ঠিকানা জানতে হোম কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ব্যর্থ হয়৷ কিলকারী চাইল্ড হোমে চরম উশৃঙ্খলতা শুরু করে জন্নত৷ পরে তাকে কমলানগরস্থিত সালাম বালক ট্রাস্টের হোমে স্থানান্তর করা হয়৷ সেখানে অনেক চাপ দেওয়ার পর জন্নত তার বাড়ির ঠিকানা জানায়৷ তারপরই পুলিশ ও হোম কর্তৃপক্ষ বিলোনীয়া থানার সাথে যোগাযোগ করে৷ প্রশ্ণ উঠেছে, ঐ দুই মহিলা যারা জন্নতকে প্রলোভন দিয়েছিল, তারা কারা৷ তাদের পরিচয় কি৷ তারা কি নারী পাচারের সাথে যুক্ত৷ এসইসব বিষয়গুলি নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছে বিলোনীয়ার দক্ষিণ মতাইয়ের জনগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *