আগরতলা, ২৪ মার্চ (হি.স.) : ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার সামাজ বিরোধিদেরে সহযোগী এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা
নেবার অভিযোগ উঠল। হত্যার হুমকির দায়ে অভিযুক্তদের পক্ষ হয়ে অভিযোগকারীর কাছে সমঝতাকারীর হয়ে হাজির হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদেন। এরপর ঐদিন রাতেই দুই যুবক পৃথকভাবে তার মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়। এরপরেই রতন চক্রবর্তী পূর্ব থানায় অভিযোগ দায় করেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী শুক্রবার জানিয়েছেন, সমাজবিরোধী তাকে ফোন করে বিজেপিতে যোগদানের অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হবে। তার অবস্থা শ্যাম হরি শর্মার মত হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৯১ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজধানী আগরতলায় এক প্রকাশ্য জমায়েতে শ্যামহরি শর্মাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই অভিযোগ দায় করার পর পূর্ব থানা থেকে দুই পুলিশ অফিসার রতন চক্রবর্তী বাড়িতে আসেন এবং তাকে আবেদন করেন তিনি যেন এই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। কারন অভিযুক্তরা খুবই সাধারণ। রতন চক্রবর্তী পুলিশকে জানিয়েছেন তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এখন সব দায়দায়িত্ব পুলিশের। এরপর প্রায় ২৪ঘণ্টা হতে চললেও
দোষীদের গ্রেফতার করা হয়নি। রতন চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের কাছে যাবেন। এবং এটা স্বাভাবিক ভাবেই প্রমাণিত হয় তৃনমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকা কতিপয় সমাজ বিরোধী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।