নয়াদিল্লি, ২১ মার্চ (হি.স.) : সুখের মাপকাঠিতে অনেকটাই পিছিয়ে ভারত | ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেসের রিপোর্ট অনুযায়ী মোটেই সুখী নয় ভারতীয়রা | সুখের মাপকাঠিতে ভারত পিছিয়ে প্রতিবেশী চিন, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের থেকে | এমনকী বিস্ফোরণ বিধ্বস্ত ইরাকও ভারতের থেকে এগিয়ে আছে | ২০১৩ থেকে ২০১৫-য় ভারত ছিল ১১৮ নম্বরে| এবার আরও চার ধাপ নেমে গিয়েছি আমরা| চলতি বছর ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেসের সমীক্ষা রিপোর্টে ১৫৫ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২২ নম্বরে |
মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, সুস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পছন্দের স্বাধীনতা, দয়াদাক্ষিণ্য ও দুর্নীতির মাপকাঠিতে ঠিক হয় এই হ্যাপিনেস রিপোর্ট| ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে এই রিপোর্টটি| এটি প্রকাশ করে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক|
তাদের এই হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষের দেশ নরওয়ে| গতবার চার নম্বরে থাকা নরওয়ে এ বছর গত তিনবারের শীর্ষদেশ ডেনমার্ককে হঠিয়ে দিয়ে এক নম্বর স্থান দখল করছে | ডেনমার্ক এবার ২ নম্বরে| ৩ নম্বরে আইসল্যান্ড, ৪-এ সুইজারল্যান্ড ও ৫-এ ফিনল্যান্ড| আমেরিকা রয়েছে ১৪ নম্বরে, ১ ধাপ নেমে গিয়েছে তারা| চিন আছে ৭৯ নম্বরে, পারিস্তান ৮০ নম্বরে, নেপাল ৯৯ নম্বরে, বাংলাদেশ ১১০ নম্বরে ও ইরাক ১১৭ নম্বরে| শ্রীলঙ্কাও ভারতের ওপরে, ১২০ নম্বরে|
এবারের রিপোর্টে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মক্ষেত্রে সুখকে, কারণ মানুষের জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানেই কেটে যায়| তাই সন্তুষ্টির সন্ধানে রোজগার ও বেরোজগারের ভূমিকা রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে| আর চাকরি, চাকরির ধরন ও কোন শিল্পে কর্মরত- সে সব রীতিমত দরকারি| যাঁদের মাইনে বেশি তাঁরা সুখী ঠিকই কিন্তু সেটা সুখের অন্যতম কারণ, এর বেশি কিছু নয়| জীবন ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য, কাজের বৈচিত্র্য ও কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা- সুখের জন্য সবই জরুরি| সংস্থাটি রিপোর্টে আরও বলা হয়ছে পরিস্কˆার, শক্তপোক্ত সামাজিক ভিত্তি থেকেই মূলত আসে সুখ|