নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৫ মার্চ ৷৷ যাদের পূর্ব পুরুষেরা এক সময় রাজন্য শাসিত শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যের প্রজা ছিলেন, বর্তমান সরকারের শাসন ব্যবস্থায় তারাই আজ খাটো৷ প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে পাহাড়ি জঙ্গল থেকে শহর অঞ্চলের হাওয়ায় এসেও বঞ্চনার শিকার গিরিবাসীরা৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের হলুদিয়া এডিসি ভিলেজের ছন পাড়ার একাংশ গিরিবাসীরা সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷
তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের হলুদিয়া এডিসি ভিলেজের ছন পাড়া এলাকা৷ ওই এলাকার বেশির ভাগ লোকেরাই পাহাড়ি অঘোর জঙ্গল থেকে সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের থেকে ছন পাড়া এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন পূর্ব পুরুষেরা ভিটে মাটি ত্যাগ করে৷ তার মধ্যে ৮টি পরিবার ২০০৩ সালে শ্রীরাম সভা এডিসি ভিলেজের বেল পাড়া থেকে সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য এসেছিলেন৷ বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় দশাধিক সময় কালে পেরিয়ে গেলে ও ওই এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীরা আধার কার্ড, রেশনকার্ড, ভোটার আইকার্ড এখন পর্যন্ত পায়নি৷ সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল কেন্দ্রীয় এমজি এন রেগা প্রকল্পের কাজও তারা পায়নি৷ যদিও গিরিবাসীরা পূর্ব পুরুষ ধরে এই রাজ্যে বসবাস করে আসলেও সরকারি নানা সুযোগর সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷
এদিকে, গিরিবাসীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সন্ধ্যা রাতে পরিদর্শনে যান বিজেপি খোয়াই জেলা সম্পাদক বিকাশ দেববর্মা সহ কৃষ্ণপুর মন্ডল সভাপতি নির্মল সরকার৷ এদিন হলুদিয়া এডিসি ভিলেজের ছনবাড়ী এলাকায় বঞ্চিত ৮টি পরিবারের সাথে কথা বলেন৷ তিনি তাদের বঞ্চনার ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের বাম আমলে সব কিছুই সম্ভব৷ তাই ২০০৩ সালে প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে ৮টি পরিবার এসেছিলেন ছন পাড়া এলাকায়৷
বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গিরিবাসীরা উন্নয়ন হয়৷ তারা প্রতিবারই প্রশাসনের মিথ্যা উপর আস্থা রেখে পূর্ব পুরুষদের ভিটে মাটি ছেড়ে চলে আসেন৷ মোদ্দা কথা হলো, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক ছল না খেলছেন একাংশ মানুষ৷ এখন দেখার বিষয় ছনপাড়া এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীদের মধ্যে সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পৌঁছতে কত সময় লাগে৷