চেন্নাই, ২৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : চেন্নাইয়ে প্রতি দুইজন মহিলার মধ্যে একজন শ্লীলতাহানির শিকার হন । ধর্ষিত হন। লোকলজ্জার ভয়ে মাত্র ১০ শতাংশ মহিলা পুলিসে রিপোর্ট করেন। বাকিরা মুখ বুজে সব সহ্য করেন। এমনটাই উঠে এসেছে কোয়েম্বাতুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমীক্ষায় ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি বেসান্ত নগর, সাইদাপেত, সেমেনচেরি, কাশিমেদু, রামাপুরাম, ব্যাসারপারির মতো জায়গায় সমীক্ষা চালিয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ভি কন্নদাসান বলেছেন, ‘গরিব ঘরের মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি যৌন লাঞ্ছনার শিকার হন। সচেতনতার অভাবই মূল কারণ।’
সমীক্ষায় আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। চেন্নাই শহরে প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে অন্তত একজনের ১৫ বছরের মধ্যেই বিবাহ হয়ে যায়। দুই মাস ধরে ১০০০ মহিলার মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। তাদের মধ্যে ৪০০ জন মহিলা জানিয়েছেন তাঁদের ২০ বছর হবার আগেই বিবাহ হয়ে গিয়েছিল। স্বামীদের বয়স ছিল অনেক বেশি। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ মহিলাই বৈবাহিক জীবনে অখুশী। স্বামীর ঘর ছেড়ে দিয়েছেন।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও হাল একই। ৪০ শতাংশ মহিলা প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পেরোন। মাত্র ২ শতাংশ মহিলা গ্রাজুয়েট। যার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহিলারা জানিয়েছেন, ন্যাপকিন কেনার টাকাই তাদের কাছে থাকে না। স্কুলে যাব কীভাবে? সরকার এই বিষয়গুলোতে নজর দেবে কী?