নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ জেলা কারাগারের জায়গায় জেলা হাসপাতাল স্থাপন, কৈলাসহরে উন্নত
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/02/Kailasahar-Congress-1-300x169.jpg)
চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টা কৈলাসহর মহকুমা বন্ধ সর্বাত্মক৷ সকাল সাতটা থেকে বন্ধ ছিল শান্তিপূর্ণ৷ তবে জেলা দায়রা জজ অফিসে প্রবেশ করার সময় কংগ্রেসের আন্দোলনকারীদের সাতে কিছু দস্তাদস্তি হয় পুলিশের শুধু পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলা দায়রা জজ সহ তিনজন বিচারক নিজ অফিসে ঢুকে যান তবে কোন অন্য কর্মচারী অফিসে যেতে পারেনি৷ মহকুমা কার্য্যালয় থেকে শুরু করে সমস্ত অফিস, সুকল, কলেজ এমনকি সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল৷ রাস্তায় কোন যানবাহন চলাচল করেনি৷ কৈলাসহর পাইতুর বাজারে রাস্তার মধ্যে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ ঐ সময় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন আয়ত্বে আনে৷ আগুন জ্বালানোর সময় এক বন্ধ সমর্থকদের গায়ে সামান্য আগুন লেগে যায়৷ তেমন কিছু না হওয়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা সহ অনেকেই৷ আজ আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বদরুজ্জমান প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চক্রবর্তী সহ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী৷ পিকেটিং উত্তেজিত অবস্থায় থাকলেও কোন পিকেটারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নি৷ সকাল থেকে রাস্তা, অফিস, আদালতে টি এস আর ও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ অনেক পুলিশ অফিসার রাস্তায় টহল দেন৷ সকাল থেকে বন্ধ শান্তিপূর্ণ অবস্থা শেষ হয়৷ দুপুর একটায় আর জি এম হাসপাতালে কিরূপ অবস্থা তার সরজমিনে দেখতে যান বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ এরপর হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন শুধু এই আন্দোলন শেষ নয়৷ বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কয়েক দিনের মধ্যে কৈলাসহর নেতাজি মূতির পাদদেশে ধর্ণায় বসা হবে৷ কৈলাসহরে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সরকারকর্তৃক যে তালবাহানা করা হয়েছে তা নিয়ে আন্দোলন থামবে না কংগ্রেসের৷ কৈলাসহরে হাসপাতাল ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে বিধায়ক জানিয়েছেন৷ জেলা হাসপাতাল ভগবান নগরে উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে আর জি এম হাসপাতাল থেকে একটি সুই নেওয়া হবে না৷ কিন্তু আর জি এম হাসপাতাল থেকে রাত্রে অন্ধকারে সব জিনিস তুলে নেওয়া হয়েছে৷ হাসপাতালে কোন পরিষেবা নেই৷ চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্ত বেড খালি৷ এত পুরানো শহরের ভিতরের হাসপাতাল মুছে যাবে তা বরদাস্ত করা যাবে না বলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি জানান৷ পাশাপাশি বন্ধ সর্বাত্মক হওয়া এবং এই বন্ধকে সকলের সমর্থন পাওয়ায় কৈলাসহর বাসীকে অভিনন্দন জানান বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ পাশাপাশি আগামী আন্দোলনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি৷