রাজ্যের বহু সুকলে নেই ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি৷৷ শিক্ষক স্বল্পতায় ধঁুকছে রাজ্যের বহু সুকল৷ অন্যদিকে, ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে অধিক শিক্ষক রয়েছে অনেক সুকলেই৷ শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ণোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক রতন লাল নাথের উত্থাপিত যেসকল বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকার কথা ঐ বিদ্যালয়গুলিতে কত সংখ্যক বিদ্যালয়ে দুইয়ের অধিক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে প্রশ্ণের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ২০৬৫টি সুকলে দুজন করে শিক্ষক শিক্ষিকা থাকার কথা৷ এর মধ্যে ১৮০৪টি সুকলে দুজনের অধিক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন৷
তাতে, বিধায়ক রতনলাল নাথ বলেন, বহুবিদ্যালয় শিক্ষক স্বল্পতায় ধুকছে৷ অথচ ১৮০৪টি সুকলে দুজনের অধিক শিক্ষক শিক্ষিকা থাকার কারণ কি৷ উত্তরে মন্ত্রী জানান, ছাত্র সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষক শিক্ষিকা দেওয়া হয়৷ এডিসি এলাকাতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ এবিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে৷ তাতে যে সুকলগুলিতে ছাত্র সংখ্যা কমছে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার সেটা করতে চাইছে না৷ রতনবাবু বলেন, উদ্বেগের বিষয় হল লেফুঙ্গা ব্লকের অধীন বলরাম পাড়ায় জেবি সুকলে ছাত্র সংখ্যা ৫ জন, অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৬ জন৷ রাশিরাম পাড়ায় একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ জন,শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন৷ রাজধানী আগরতলায় ইন্দ্রনগর উচ্চ মাধ্যমিক সুকলে প্রাথমিক বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ জন, শিক্ষক রয়েছেন ৩ জন৷ রতনবাবুর বক্তব্য, নিজ বাড়িতে থেকেই বিদ্যালয়ের যাওয়া আসার সুবিধার জন্য ঐ বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংখ্যার তুলনায় শিক্ষক সংখ্যা বেশি৷ তাঁর দাবি, শাসক দলীয় নেতাদের দৌলতেই ছাত্র সংখ্যা কম হলেও শিক্ষক সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে৷
এদিন রতনবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি সুকলের প্রতি মানুষের অনীহা ক্রমশ বাড়ছে৷ গত একবছরে সরকারি সুকলে ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী কমেছে৷ বরং বেসরকারি সুকলের দিকে ঝোঁক বাড়ছে৷
এদিন বিধানসভায়া তারকা চিহ্ণবিহীন এক প্রশ্ণের উত্তরে জানা গেছে, ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ২৬টি প্রাথমিক ও ৪টি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন ছাত্রছাত্রীও ভর্তি হয়নি৷ ফলে, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *