এসসি, এসটিদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কমানোর অভিযোগ খন্ডন বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ তপশিলী জাতি ও উপজাতিদের জন্য সাব প্ল্যানে বরাদ্দ তুলে দেওয়া হয়নি৷ বরং ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় এবছর বেড়েছে বরাদ্দ৷ বুধবার ত্রিপুরা গণমুক্তি পরিষদ এবং ত্রিপুরা তপশিলী জাতি সমন্বয় সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, তপশিলী জাতি ও উপজাতি অংশের মানুষের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযোগের খন্ডন করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেবের দাবি শাসক দল রাজ্যের তপশিলী জাতি ও উপজাতি অংশের মানুষদের বিভ্রান্ত করছে৷
বৃহস্পতিবার শান্তিরবাজারে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সভাপতির দাবি, রাজ্যের তপশিলী জাতি-উপজাতিদের বিভ্রান্ত করে কেন্দ্র বিরোধী জিগির দেওয়ার অপচেষ্টায় নেমেছে সিপিএম৷ কারণ, নীতি আয়োগের মাধ্যমে রাজ্যের এই পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত কেন্দ্রীয় অর্থ এখন আর বাঁকা পথে পার্টি ফান্ডে ঢুকানো সম্ভব হবে না৷ তাঁর দাবি সিপিএম ষড়যন্ত্র করছে৷ শুধুমাত্র নিজেদের পার্টি তহবিল স্ফীত করার এতদিনের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার দলীয় নেতারা বেসামাল হয়ে পড়েছে৷ তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, গ্রাম পাহাড়ে তপশিলী জাতি-উপজাতি অংশের মানুষদের বিভ্রান্ত করছে সিপিএম৷ তাদের বোঝানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তপশিলী জাতি উপজাতি অংশের মানুষের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হ্রাস করে দিয়েছে৷ বিপ্লববাবুর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার দুটি ক্ষেত্রেই বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তিনি জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তপশিলী জাতি অংশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৮৮৩৩ কোটি টাকা৷ কিন্তু এবার তা বাড়িয়ে ৫২৩৯৩ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, তপশিলী উপজাতিদের জন্য গত অর্থবছরে ২৪০০৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এবছর ৩১৯২০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷
এদিন তিনি শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, প্রকল্পের অর্থ বাঁকা পথে সরিয়ে নেওয়া ছাড়া বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ খরচ করতে না পারার বহু দৃষ্টান্ত এই রাজ্যে রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন যাদের জন্য বরাদ্দ করা হয় তারাই যাতে এর সুযোগ নিতে পারেন এর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তিনি দাবি করে বলেন, নীতি আয়োগের প্রস্তাব অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে হেরাফেরি করার সমস্ত সম্ভাবনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মানুষ এই প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন এবং শাসক দলের অপকৌশলের ফাঁদে পা দেবেন না বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আশা প্রকাশ করেন৷
এদিকে, এদিন এই দলীয় সমাবেশে প্রায় ১১৬৩জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তাতে সিপিএম থেকে ১১৩ পরিবার, কংগ্রেস থেকে ৯০ পরিবার, আইপিএফটি থেকে ১০০ পরিবার এবং আইএনপিটি থেকে ৫ পরিবার যোগদান করেছেন৷