নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারী ৷৷ শ্বশুড়-শাশুড়ী ও স্ত্রীর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক ব্যাক্তি আত্মঘাতি হয়েছেন৷ নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেন তপন দাস(৪১)৷ পেশায় রডমিস্ত্রি তপন দাস সোমবার রাত আনুমানিক ১২টা নাগাদ শ্বশুড়বাড়ীতে নিজ ঘরেই কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে জি বি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর তিনটা নাগাদ চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে ঐ ব্যাক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন৷
এবিষয়ে তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাস জানান, তিন বছর আগে সামাজিক রীতি মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল৷ নিহতের নিজ বাড়ি সিধাই মোহনপুরে৷ কিন্তু একবছর ধরে শ্বশুড় বাড়িতেই থাকছিলেন৷ তাদের ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ এমনিতে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে কোন ঝামেলা না থাকলেও গতকাল বাজার নিয়ে উভয়ের ঝগড়া হয়েছে৷ তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, হয়ত ঝগড়ার কারণেই স্বামী আত্মহত্যা করেছেন৷ কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল, এদিন স্বামী মারা গেলেও প্রয়াতের স্ত্রী কল্পনা দাসের চোখেমুখে শোকের ছায়া দেখা যায়নি৷ কেবল অবুঝ শিশুটি মায়ের কোলে থেকে বার বার বাবার নিথর দেহের দিকে তাকাচ্ছিল৷ এদিন স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর ভূমিকা ঐ ব্যাক্তির মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷ কারণ, অভিযোগ উঠেছে তপন দাসকে তার স্ত্রী কল্পনা দাস মারধর করতেন৷ তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরাও তার উপর নির্যাতন করেছেন৷ তাই, এই আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশি তদন্তের দাবি উঠেছে৷