সুকলগুলিতে পড়ুয়াদের কৃমির প্রকোপ থেকে রক্ষার পন্থা নিয়ে সংশয়

Healthনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ কৃমির প্রভাবে শিশুরা এনেমিয়া, অপুষ্টি এবং মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগতে পারে৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মসূচী অনুসারে রাজ্যে কৃমি নাশক দিবস পালিত হবে৷ সেখানে ১-১৯ বছর পর্যন্ত শিশু ও নাবালকদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ উঠেছে শিশুদের কৃমির হাত থেকে কিভাবে বাঁচানো সম্ভব৷
বিভিন্ন সুকল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুরা ধুলোমাটিময় হয়েও ভাল করে হাত না ধুয়েই খাবার খেয়ে নিচ্ছে৷ সেদিকে শিক্ষা দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের তেমন কোন নজর নেই বলে অভিযোগ৷ কারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভাল করে হাত ধুয়ার পরিকাঠামো নেই৷ পানীয় জল এবং সাবান রাখার মত ব্যবস্থা অধিকতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই বলে অভিযোগ৷ এবিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব রাকেশ সারওয়াল জানিয়েছেন, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সাবান ও নেইল কাটার সরবরাহ করা হয়েছে৷ প্রত্যেক ক্লাসের জন্য একটি করে নেইল কাটার দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের আঙুলের নখ কাটার প্রয়োজনীয়তা দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন৷ তাতে, প্রশ্ণ উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের আঙুলের নখ কাটা প্রতিনিয়ত কতটা সম্ভব হবে৷ কারণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রশ্ণে আঙুলের নখ কাটা এবং খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার বিষয়টি অভ্যাসে পরিণত করা না গেলে কৃমির প্রকোপ আটকানো সম্ভব নয়৷ স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হাত ধোয়া ও আঙুলের নখ কাটার ডিসপ্লে করা হবে৷ কিন্তু এই উদ্যোগ আদৌ কতটা সফল হবে তা নিয়েই প্রশ্ণ উঠেছে৷
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সারা রাজ্যে কৃমি নাশক দিবস পালিত হবে৷ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১-১৯ বছর পর্যন্ত শিশু ও নাবালক নাবালিকাদের কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে৷ ঐদিন ছৈলেংটার কমিউনিটি হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বাদল চৌধুরী কৃমি নাশক দিবসের সূচনা করবেন৷ এবছর ৮৩৮২ শতাংশ শিশু ও নাবালক-নাবালিকাদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ মোট ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯২২ জনকে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাকেশ সারওয়াল৷ তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কৃমি নাশক ওষুধ খেয়ে প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম তৈরি রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *