নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ৮ ফেব্রুয়ারী৷৷ নাবালিকা গৃহ পরিচারিকার মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের দাবীতে এবার সরব হল আইএনপিটি৷ প্রাক্তন বিধায়ক রাজেশ্বর দেববর্মার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল টাকারজলা থানার ওসির সাথে দেখা করেন এবং ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দাবী সনদ ওসির হাতে তুলে দিয়েছেন৷ যদি অবিলম্বে দোষীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে আইএনপিটি আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠতি করবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে৷
প্রসঙ্গত, গত ত্রিশ জানুয়ারী টাকারজলা থানার অধীন আমতলী পাড়াতে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু হয়৷ পুলিশ মৃতদেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেনা অজুহাত দেখিয়ে এই ঘটনার তদন্তে গতি আনছে না৷ তাতে কথিত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না৷ অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের বাঁচাতে পুলিশের উপর শাসক দলের নেতৃত্বদের চাপ রয়েছে৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ যে বাড়িতে ঐ নাবালিকা পরিচারিকার কাজ করত সেই বাড়ির মালিক শাসক দলের প্রবাবশালী নেত্রী৷ দলিয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আইনী ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে চাইছেন৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দল রীতিমতো বিপাকে রয়েছে৷ একদিকে নারী সমিতি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে টাকারজলা থানাতে ডেপুটেশন দিয়েছে, অন্যদিকে বাড়ির মালিক হগব মার্কা শিক্ষক নেতা মানিক দেববর্মা ও তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা দেববর্মাকে দল থেকে বহিস্কারও করতে পারছে না৷ দল থেকে বহিস্কার হলেই দলের ভাবমুর্ত্তি আরও একবার প্রশ্ণ চিহ্ণের মুখে পড়ে যাবে৷ তাই উভয় সংকটে রয়েছে শাসক দল৷ এদিকে, নাবালিকা গৃহ পরিচারিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়ে রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ত্রিশ জানুয়ারী রাতে কোন এক সময় ঐ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়৷ পরে মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়৷ পরদিন সকালে ঐ বাড়িতে গিয়ে টাকারজলা থানার পুলিশ নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে৷ শুধু তাই নয় বাড়ির মালিক শিক্ষক নেতা মানিক দেববর্মা এবং স্ত্রী তথা নারীনেত্রী সুমিত্রা দেববর্মার মৃতার পরিবারের হাতে দেড় লক্ষ টাকা গুঁজে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ৷
2017-02-09

