BRAKING NEWS

সাংবিধানিক পদ ছেড়ে দিয়ে রাজ্যপালকে রাজনীতিতে আসতে পরামর্শ বিজন ধরের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যপালের সাথে বাকযুদ্ধ শুরু সিপিআইএম’র৷ সাংবিধানিক পদ ছেড়ে দিয়ে

সাংবাদিক সম্মেলন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷ ছবি নিজস্ব৷
সাংবাদিক সম্মেলন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷ ছবি নিজস্ব৷

রাজ্যপাল তথাগত রায়কে রাজনীতিতে আসার জন্য বললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজনবাবু বলেন, একজন আরএসএস নেতা বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের আসার সুবাদে সৌভাগ্যবশত এই রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে যান৷ তিনি সরকারি অনুষ্ঠানে বেফাঁস বলে দিলেন পরিকল্পনা কমিশন একটা ভন্ডামি৷ নীতি আয়োগই হল সঠিক৷ এনিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষের সুরে বিজনবাবু বলেন, বিজেপি করতে হলে এই পদ ছেড়ে আসুন৷ কেউ আপনাকে আটকাবেনা৷ বিজনবাবু এদিন, ক্ষোভের সুরে বলেন, তিনি আবার টুইট করে বলছেন, ফ্যাসিস্ট এবং কমিউনিস্টরা নাকি একই৷ বিজনবাবুর মতে, এই ধরনের মন্তব্য সাংবিধানিক পদের অবমাননা করা৷ বিজনবাবুর দাবি, ইতিহাস সম্পর্কে যাদের সাধারণ ধারণা আছে তারা জানেন কমিউনিস্টরাই একমাত্র ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং আজো লড়াই জারি রেখেছে৷ শুধু তাই নয়, আগামীতেও লড়াই করে যাবেন৷ রাজ্যপাল হিসেবে তার এই ধরনের মন্তব্য কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না বলে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক উষ্মা প্রকাশ করেন৷ আর এই কারণে তিনি মনে করেন, রাজ্যপাল পদটাই তুলে দেওয়া হোক৷ আর যদিও বা রাখা হয় তাহলে নির্বাচিত করা হোক৷ সরকারের সুবেদার হিসেবে যা খুশি তা করবেন সেটা হতে পারে না৷ এই বিষয়ে আমরা আগেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, এখন দেখছি আমেরিকার কন্ঠসুরের সাথে উনার সুর মিলে যাচ্ছে৷ তিনি রাজ্যপাল পদের চরম অবমাননা করেছেন৷ সিপিএম রাজ্য কমিটি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে৷
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক এদিন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবেরও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন৷ আগরতলা-উদয়পুর রেল সূচনার অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর সাথে একত্রে সবুজ পতাকা উড়ানোতেই রেগে আগুন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷ তিনি বলেন, কোন সাংবিধানিক পদে না থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিনা নিমন্ত্রণে অনাহুতভাবে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে যাচ্ছেন৷ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, বিপ্লব দেবের বক্তব্যের ধরণটাই হচ্ছে বাচলতাপূর্ণ৷ তিনি ধনপুর বিধানসভা এলাকায় আগামী নির্বাচনে এই এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর জামানত জব্দ হবে৷ এই কথায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক চ্যালেঞ্জ ছঁুড়ে দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধনপুর কেন্দ্রে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি করুক৷ ফলাফল কি হয় তখন দেখা যাবে৷ এদিন, বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক আরো বলেন, এই লোকটি বরাবরই সমালোচিত৷ কখনো সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে অনাহুত হয়েও বিনা নিমন্ত্রণে উঠে যান৷ আগরতলা-উদয়পুর রেল চালু হওয়ার দিন তিনি আগে থেকেই দিল্লি গিয়ে রেলমন্ত্রীর সাথে বসেছিলেন৷ এনিয়ে তাঁর সমালোচনা হয়েছে সেটাই স্বাভাবিক৷ তিনি বলেন, বারংবার এত সমালোচনা হয়েছে পত্রপত্রিকায় এবং রাজনৈতিক দলগুলোও সমালোচনা করেছে কিন্তু বিপ্লববাবু ভুল স্বীকার করবেন না৷ নিজেও একবার ভুল করেছিলেন৷ সেকথা স্বীকার করে বিজনবাবু বলেন, স্বশাসিত জেলা পরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসা নিয়ে আমি ভুল স্বীকার করেছি৷ এই কথা বলে বিজনবাবুর বক্তব্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাঁর ভুল স্বীকার না করে নিজের স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ করছেন৷
এদিন তিনি আরো বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফোরাম পাহাড় বন্ধের ডাক দিয়েছে৷ সিপিএম রাজ্য কমিটি তার তীব্র বিরোধিতা করছে৷ রাজ্য কমিটি স্থির করেছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই তিন দলীয় জোট এবং বন্ধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামবে৷ এদিন তিনি জানান, এই সমস্ত বিষয় দুইদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *