BRAKING NEWS

ঘুরপথে রাজ্যভাগকে সমর্থন করছে বিজেপি, অভিযোগ গণমুক্তি পরিষদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি৷৷ ঘুরপথে রাজ্যভাগের দাবিকে সমর্থন করছে বিজেপি৷ স্বশাসিত জেলা পরিষদের

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী৷ ছবি নিজস্ব৷
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী৷ ছবি নিজস্ব৷

বদলে বিজেপি চাইছে স্বশাসিত রাজ্য৷ মঙ্গলবার গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী এই মন্তব্য করে কটাক্ষের সুরে বলেন, টেরিটরিয়াল কাউন্সিল গঠন মানেই রাজ্যের ভেতর আরেক রাজ্য৷ তাঁর মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ইস্যুতে উপজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দলের ফোরাম যে এডিসি বন্ধের ডাক দিয়েছে তার পেছনে বিজেপি মদত যোগাচ্ছে৷ তিনি স্পষ্ট জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং বন্ধ কোনটাই সমর্থন করি না৷

এদিন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ইস্যুতে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, এই আইন পাশ হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা উৎসাহিত হবে৷ মূলত, এই বিল দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে৷ এদিকে, এই বিলকে ইস্যু করে উপজাতি আঞ্চলিক দলের ফোরাম এডিসি এলাকায় যে বন্ধ ডেকেছে সে বিষয়ে শ্রীচৌধুরী মনে করেন, তাঁরা অনৈক্য সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে৷ তাতে, বিজেপিরও মদত রয়েছে৷ আইপিএফটি, আইএনপিটি নেতৃবৃন্দরা ঘন ঘন দিল্লি যাচ্ছেন৷ তিনি মনে করেন, রাজ্যের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে৷ টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল নিয়ে শ্রীচৌধুরী বলেন, সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিল সংশোধন না করে কোন মতেই স্বশাসিত রাজ্য গঠন করা সম্ভব নয়৷ আর স্বশাসিত রাজ্য গঠন করা মানেই রাজ্যভাগের রূপান্তর স্বরূপ৷ ঘুরপথে রাজ্যভাগের দাবিকে সমর্থনের বিষয়ে এদিন তিনি বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন৷

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিএমপি’র সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কোনভাবেই কাম্য নয় এবং সেটা মেনে নেওয়া যায় না৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিভাজনের রাজনীতিকে পুষ্ট করতে আনা হয়েছে৷ আর এই বিলের বিরোধিতায় এডিসি বন্ধের ডাক দেওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই৷ তিনি বলেন, সাংসদরা সংসদে এই বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন৷ ফলে, যেহেতু এখনো এই বিল আইনে পরিণত হয়নি সেখানে বন্ধ ডাকার কোন যুক্তি নেই৷ অবশ্য এই বনধের পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন৷ তাঁর বক্তব্য, আগেও এই ধরনের রাজনীতি রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন৷ কংগ্রেস যেটা খেলেছিল একসময় বিজেপি আবার সেই খেলা নতুন করে খেলতে শুরু করেছেন৷ ২০০০ সাল একই খেলা খেলেছিল আইপিএফটি৷ তখন তারা এডিসি দখল করেছিল৷ তাঁর দাবি, রাজ্যবাসীকে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে৷

এদিন তিনি জানিয়েছেন, ডা নীলমণি দেববর্মা স্মরণসভা গণমুক্তি পরিষদের প্রত্যেক বিভাগে আয়োজন করা হবে৷ এছাড়াও ২১ দফা দাবির ভিত্তিতে সম্মেলন আয়োজিত হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *