BRAKING NEWS

নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পরম বৈভবশালী ভারত গড়ার ডাক সংঘের

rssগুয়াহাটি, ২৩ জানুয়ারি (হি.স.) : নেতাজির জন্মদিনে তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পরম বৈভবশালী ভারত গড়ার ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। আজ সোমবার নেতাজির ১২১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পথসঞ্চলনের আগে জমায়েত প্রায় হাজারখানেক স্বয়ংসেবকের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ওই আহ্বান জানিয়েছেন সংঘের উত্তর অসম প্রান্ত প্রচার প্রমুখ শংকর দাস কলিতা। সংঘের মহানগর সহ-সংঘচালক গুরুপদ মেধির পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কার্যক্রমে প্রচার প্রমুখ ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও দেশভক্তি’ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে ব্যাখ্যা করেন। বলেন, সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও গুণসম্পন্ন করতে প্রত্যেক স্বয়ংসেবককে প্রথমে অনুশাসনের মধ্যে সুসংবদ্ধ হতে হবে। সুস্থ-সবল স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সামাজিক কাজে নিজে ও অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এতে বাধা অনেক আসবে, তবু কঠোর পরিশ্রম করে, শুদ্ধ প্রেরণা নিয়ে এগোলে অবশ্যই সাফল্য আসবে। প্রাসঙ্গিক বক্তব্যে নেতাজির উদাহরণ টেনে বলেন, একজন ব্যাক্তির মৃত্যু হয়ে যেতে পারে, কিন্তু তাঁর আদর্শ কখনও মরে যায় না। তাঁর (ব্যক্তিটি) আদর্শ হয়ে ওঠে মূর্তমান। তাই আজই আমাদের নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিষ্ঠা সহকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি জানান, সংঘ প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন নয়, ক্রিয়াশীল। তাই সংঘের প্রয়োজনীয়তা দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অতএব উন্নত দেশ গড়তে হলে শক্তিশালী সংগঠনের যে প্রয়োজন প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে তাও ব্যাখ্যা করেছেন শংকর দাস। সংঘের আজকের পথসঞ্চলনে ‘পূর্ণ গণবেশ’ (ইউনিফর্ম) পরে পা মিলিয়েছেন রাজ্যের পূর্ত-মৎস্য-আবগারিমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, টিংখাঙের বিধায়ক বিমল বরা, প্রদেশ বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক বিজয় গুপ্তা প্রমুখ বিশিষ্ট নেতা ও ব্যক্তি। প্রায় সোয়া ঘণ্টা পথসঞ্চলন শেষে অনুষ্ঠানস্থলে বসে অন্যান্য স্বয়ংসেবকদের সঙ্গে সারিবদ্ধ পঙক্তিতে বসে ভেজানো বুট-মুগ ও কলার মিশ্র অল্পাহারও করেন মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁদের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। বলেন, একজন স্বয়ংসেবক হিসেবে এই পথসঞ্চলনে অংশগ্রহণ করেছি। তাতে দোষের কী? আমি প্রথমে স্বয়ংসেবক, পরে অন্য কিছু। তাছাড়া আজকের দিনে জন্মেছিলেন দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আজকের এই পুণ্য দিনে এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তিনি গর্বিত বলেও মনে করেন মন্ত্রী পরিমল। প্রায় একই বক্তব্য বিজেপি-র প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিজয় গুপ্তারও। উল্লেখ্য, আজ সোমবার সকাল ঠিক নয়টায় গণেশগুড়িতে অবস্থিত দিশপুর কলেজ ময়দানে স্বয়ংসেবকরা ‘সম্পত’ (পঙক্তিবদ্ধ) হন। এর পর তাঁদের উদ্দেশে ভাষণ দেন সংঘের উত্তর অসম প্রান্ত প্রচার প্রমুখ শংকর দাস কলিতা। ভাষণ শেষে ময়দান থেকে গৈরিক ধ্বজ বহন করে আগে পিছে ব্যান্ড নিয়ে পূর্ণ গণবেশধারী স্বয়ংসেবকরা গোটা দিশপুর এলাকা পথসঞ্চলন করে ফের ময়দানে ফিরে আসেন। সংঘের গুয়াহাটি মহানগর বিভাগ আয়োজিত পথসঞ্চলন কার্যক্রমে প্রায় সাতশো পূর্ণ গণবেশধারী-সহ মোট হাজারখানেক স্বয়ংসেবক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *