BRAKING NEWS

কেন্দ্রে-রাজ্য দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা কাটল, দেশে জিএসটি চালু হচ্ছে ১লা জুলাই

gst-bill-copyনয়াদিল্লী,১৬ জানুয়ারী৷৷ ১লা এপ্রিলের বদলে ১লা জুলাই থেকে গোটা দেশেই চালু হতে চলেছে পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি৷ সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলী জানালেন, দ্বৈতনিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে৷ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে যে সমস্যা তৈরী হয়েছিল তা মিটে গিয়েছে৷ ফলে, জিএসটি চালু করতে আর কোন বাধা রইল না৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, জিএসটির দ্বৈত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়েছে তা হল দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক টার্ন ওভার এরকম ৯০ শতাংশ জিএসটি করদাতা মূল্যায়ন করবে রাজ্য৷ বাকি দশ শতাংশ মূল্যায়ণ করবে কেন্দ্র৷ যাদের বাৎসরিক টার্ন ওভার দেড় কোটি টাকার ওপর তাদের ক্ষেত্রে তাদের ক্ষেত্রে ট্যাক্স এসেসম্যান্ট হবে ৫০-৫০ অনুপাতে৷ তার মানে দাঁড়াল ৫০ শতাংশ রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে এবং বাকি ৫০ শতাংশ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে৷
জিএসটিতে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ নিয়েই মতানৈক্যের জের এতদিন ধরে ঝুলে ছিল নয়া পণ্য পরিষেবা কর পদ্ধতি৷ জিএসটি চালু হলে গোটা দেশে পণ্য পরিষেবা কর ব্যবস্থায় সরলিকরণ হবে বলে দাবি অর্থ মন্ত্রকের৷ কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ নিয়েই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে মূল সমস্যা দেখা দেয়৷ রাজ্যের বক্তব্য, তদারকির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কাছে পরিকাঠামো শক্তিশালী৷ জিএসটি কাউন্সিলের পূর্বেকার বৈঠকগুলিতে দেড় কোটি টাকার কম বাৎসরিক টার্ন ওভার এযাবতীয় পণ্যগুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যগুলি রাখতে চেয়ে দরবার করেছে৷ এদিন, জিএসটি কাউন্সিলের নবম বৈঠকে অবশেষে কেন্দ্র রাজ্যগুলির ঐ দাবী মেনে নেয়৷
জিএসটি চালু হলে একটি পণ্যের একটি কর ব্যবস্থা চালু হবে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে উৎপাদনশীল রাজ্যগুলি জিএসটি চালু হলে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷ কিন্তু, ছোট রাজ্যগুলি জিএসটি চালু হলে উপকৃত হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারনা৷ কেন্দ্র বলছে, জিএসটি চালু হলে রাজ্যগুলির ক্ষতি বহন করার জন্য তহবিল গঠন করা হবে৷ কেন্দ্রের মতে কোন রাজ্যই জিএসটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না৷ তবে, চার স্তরীয় পণ্য ব্যবস্থায় কিছু জিনিসের দাম বাড়বে তেমনি বহু জিনিসের দাম কমবে৷
অর্থনীতিবিদদের মতে, ভারতের কর কাঠামোয় জিএসটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ৷ এর ফলে রাজ্যের একাধিক শুল্ক উঠে গিয়ে এক ছাতার তলায় আসবে সব পরোক্ষ কর৷ এদিনের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে মতানৈক্যে এই বিল নিয়ে জটিলতা দিন দিন বাড়তে থাকে৷ ১লা এপ্রিলই জিএসটি চালু করা হবে৷ এমনটা নিশ্চিত হতে পারছিল না অর্থ মন্ত্রক৷ সাংবিধানিক নীতি অনুযায়ী আগামী সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে যেকোনও ভাবে জিএসটি বিল কার্যকর করতেই হবে৷ কিন্তু, দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চরম মতানৈক্যের জের এই বিল কার্যকরে কোনও সুরাহা হচ্ছিল না৷ জিএসটি কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সমস্যাগুলি নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল৷ এদিনের বৈঠকে জিএসটি বিল নিয়ে সুরাহা হয়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *