BRAKING NEWS

কমলগর স্বাস্থকেন্দ্রের পরিষেবা শিকেয়, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

Healthনিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ৯ ডিসেম্বর৷৷ কথায় বলে স্বাস্থ্য ভাল যার মনভাল তার, স্বাস্থ্যই হচ্ছে সুখের মূল, আর রোগবালাই তো আছে দুনিয়া, ভাল থাকার আছে যে উপায়৷ রোগ ব্যাধি হলে, বা অসুখ বিসুখ হলেই আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই আরোগ্য লাভের জন্য৷ কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে এবং রাজ্য সরকার, পরিবার স্বাস্থ্য কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পয়সা খরচ করে একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে৷ মানব জীবন যাতে রোগব্যাধির হাত থেকে মুক্ত থাকতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে সুজলা সুফলা ভাবে সমাজে বসবাস করতে সক্ষম হয়৷ তার জন্যই প্রতিটি প্রাথমিক হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য বিষয়ে কর্মচারী নিয়োগ করেন৷ মূলত রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার যাতে কোনভাবেই ত্রুটি না ঘটে৷ তাই আজকাল কমলনগর প্রাথমিক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্র দাস, অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত হাসপাতাল ইনচার্জ এবং উনার ন্যস্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে গোটা কমলনগর গ্রামবাসীর এক গাদা বাক্সবন্দী অভিযোগের চিত্র প াঠক হৃদয়ে উপস্থাপন করছি৷ পরিষেবা নিয়ে তালবাহানা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে৷ এখন গ্রামে গঞ্জে বেওয়ারিশ কুকুরের ছুটোছুটি কিছু দিন পূর্বে এক রোগী কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন করার জন্য হাসপাতালে ছুটে আসেন, ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন নেই৷ অথচ মহকুমা ও জেলা হাসপাতাল গুলিতে নেই কোন ভ্যাকসিনের অভাব স্বাস্থ্য অধিকর্তা সূত্রে জানতে পারি এই সংবাদ তাহলে নিশ্চয় কর্তব্যরত ডাক্তারবাবুর কল্যাণেই রোগী পেল না কুকুরের কামড়ের ওষুধটি৷ ডাক্তার নারায়ণবাবু এবং শুভ্রজিৎ সর্বদা ব্যস্ত থাকে ক্যারাম গুটি নিয়ে৷ রোগীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেন৷ আউট ডোরে চিকিৎসা পরিষেবা সঠিকমত করে না, তার কারণ একটাই হাসপাতালের কোয়াটারে বসে রমরমা টাকার চিকিৎসাই নিজেকে নিয়োজিত করে৷ শুধু কি তাই ইমারজেন্সি রোগী আসলেই, উনাকে ক্যারামগুটি খেলা থেকে ডেকে নিয়ে আসতে হয়৷ বর্তমানে নার্স ও আরো অন্যান্য কর্মচারীরাও ক্যারাম খেলায় মত্ত থাকে৷ রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা লাটে উঠুক তাতে তাদের কি আসে যায়৷ আর যদি কোন রোগী বলেন স্যার আমরা প্রেসারটা মেপে দেখুন তাহলে আর রক্ষা নেই৷ একেবারে তেলে বেগুনে৷
ব্লাড টেকনেশিয়ান রোজ আসেনি মাঝে মধ্যে হাসপাতাল চত্বরে দেখা গেলেও ১০টা আসে আবার ১২টা না বাজতেই চলেও যান৷ অনেক রোগী রক্ত পরীক্ষার জন্য হয়রানির শিকার হন৷ রিপোর্ট নিয়েও তালবাহানা করেন৷ কিন্তু ইনচার্জ নারায়ণ বাবু কিছুই বলেন না৷ রয়েছে ফার্মাসিস্ট৷ কিন্তু ওষুধ প্রদান করেন অন্য স্টাফ রোগীরা একফোঁটা পরিশ্রুত পানীয় জল পর্যন্ত পান না৷ নেই কোন পানীয় জলের ফিল্টার যাও একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে৷ নোংরা, নর্দমা, পয়েন্ট গুলি ভাঙ্গা৷ যা বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য৷ সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হল ডাক্তারবাবুরা সকাল বিকাল রাউন্ডে রোগী দেখতে আসেনি বলে অনেক রোগীর মুখ থেকে শোনা যায়৷ নারায়ণ ডাক্তার রোগী কল্যাণ সমিতিদের নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন উন্নয়নের জন্য এবং রোগীর পরিষেবা প্রদানে কি কি করা যায় তাদের সঙ্গে কোনরকম শলাপরামর্শ করেননি এবং মিটিও ডাকেননি বলে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য জানান৷ সরকারের সদ চিন্তা ভাবনা ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গেলেও কিছু কিছু ডাক্তার ও কর্মচারীর জন্য পরিষেবা লাটে৷ তাই প্রশ্ণ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিকর্তা যেন তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শুধুমাত্র জনতার স্বার্থে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *