BRAKING NEWS

রাজ্যে পেট্রোলের সংকট জারি রাজপথে অবরোধ, বিক্ষোভ

PETROLনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই৷৷ পেট্রোল সংকট অব্যাহত রয়েছে৷ জাতীয় সড়ক এখনও বেহাল৷ কবে নাগাদ জাতীয় সড়ক সচল হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তার অন্ত নেই৷ কেউই নিশ্চিত করে বলতে পাড়ছেন না জাতীয় সড়ক কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে৷ জাতীয় সড়ক বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়ায় সবচেয়ে জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ভারতরে উত্তর পূর্বের দুর্গম রাজ্য ত্রিপুরার মানুষ৷ এখানকার মানুষজন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, জ্বালানি সহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় সড়কের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল৷ স্বাভাবিক কারণেই জাতীয় সড়ক অপহিরার্য্য৷ জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হয়ে পড়ায় রাজ্যে জ্বালানি মজুত পুরোপুরি তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ প্রতিটি পাম্পে বিপর্য্যয় মোকাবিলার জন্য ন্যুনতম ২ হাজার লিটার পেট্রোল মজুত থাকার কথা থাকলেও সেই মজুত প্রশাসনের নির্দেশে মাত্র তিনশ লিটারে পৌঁছেছে৷ এরপরও পেট্রোলের জন্য গত প্রায় পক্ষকাল ধরে কোন না কোন স্থানে হৈ হট্টগোল, অবরোধ ভাঙচুর ইত্যাদির ঘটনা ঘটে চলেছে৷
শনিবার রাজধানী আগরতলা শহরের দুর্গাবাড়িস্থিত অশোক পেট্রোলিয়াম এজেন্সিতে পেট্রোল না পেয়ে ক্ষুব্ধ জনতা পথ অবরোধ করেন৷ ফলে শহরে যানজট চরম আকার ধারণ করে৷ খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং মহকুমা শাসক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ অবশেষে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর ক্ষুব্ধ জনতা পথ অবরোধ মুক্ত করেন৷ এদিকে, ভোরবেলা থেকেই শহরের পুরাতন মোটরস্ট্যান্ড, গণরাজ চৌমুহনী, টিআরটিসি, বিদুরকর্তা, রাধানগর ইত্যাদি পাম্পের সামনে মোটরবাইক সহ যানবাহনের দীর্ঘ লাইন জমতে শুরু করে৷ পেট্রোল পাম্পগুলিতে যথারীতি পেট্রোল সরবরাহ করা হয়৷ কিন্তু মজুত নিঃশেষিত হওয়ার পরও ভোক্তাদের লাইন শেষ হয়ে যায়নি৷ অপেক্ষমান ভোক্তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ এদিকে, পুরাতন মোটরস্ট্যান্ড পেট্রোল পাম্পেও শনিবার রাতে ভোক্তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ পেট্রোলের মজুত থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষ পেট্রোল সরবরাহ করেনি৷ এনিয়ে রীতিমতো হৈ হট্টগোল শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকেও পেট্রোল ডিজেলের সংকটে নানা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ আরও কিছুদিন এই পরিস্থিতি বহাল থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *