নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল তেলিয়ামুড়া ও মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,তেলিয়ামুড়া, ৩০ মে৷৷ কঠোর নজরদারিতে ফের নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ রবিবার সাত-সকালে৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন তেলিয়ামুড়া-কৃষ্ণপুর সড়কে৷ এই খবর দিয়ে তেলিয়ামুড়া থানার এস.আই প্রীতম দত্ত জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে একটি অটো গাড়ি তেলিয়ামুড়া দিক থেকে কৃষ্ণপুরের দিকে যাচ্ছিল বিলাতী মদ বোঝাই করে৷ সেই মোতাবেক এস.আই প্রীতম দত্ত টি.এস.আর বাহিনী নিয়ে কৃষ্ণপুরের দিকে যায় এবং তেলিয়ামুড়া-কৃষ্ণপুর সড়কে উক্ত নম্বরের অটো গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালায়৷ এতে আসে সাফল্য৷ পুলিশ অটো গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২৪০ বোতল বিলাতী মদ উদ্ধার করে৷ সেই সাথে চালকসহ গাড়িতে থাকা অপর আরেক যুবককে পুলিশ আটক করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে৷ উদ্ধারকৃত বিলাতি মদের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩০,০০০ টাকার অধিক বলে জানিয়েছেন পুলিশ৷ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এস.আই প্রীতম দত্ত বলেন,কারফিউ চলাকালীন সময়ে বিলাতী মদ গুলো কোথা থেকে এলো তা তদন্ত করবেন৷


এদিকে, নেশা বিরোধী অভিযানে আবারো বড়োসড়ো সাফল্য এবার মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশের৷ একটি ট্রিপার গাড়িসহ প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ৷আটক করা হয় গাড়ি চালককে৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অন্যান্য দিনের ন্যায় রবিবার সকাল পাঁচটা থেকে মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন ৩৭ মাইল এলাকায় শিব মন্দিরের সামনে ভেহিকেল চেকিং-এ বসে এস.আই রঞ্জিত দাস সহ টি এস আর ও পুলিশ বাহিনী৷ সকাল আনুমানিক ৫:৩০ মিঃ নাগাদ আমবাসার দিক থেকে আসা ঙ্ছ০১ঙ্গঙ্খ১৩১৫ নম্বরের একটি ট্রিপার গাড়ি আগরতলার দিকে যাচ্ছিল, তখন এস.আই রঞ্জিত দাস ওই গাড়িটিকে সিগন্যাল দেয় এবং সন্দেহ হয় এই গাড়িটির উপর৷ তখন তিনি গাড়িটি


তল্লাশি চালিয়ে দেখতে পায় গাড়ির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিলের বাক্স ত্রিপাল দিয়ে মোড়ানো৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি গাড়ির চালক মানিক সরকার কে গ্রেপ্তার করে এবং থানায় খবর দেয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মুঙ্গিয়াকামী থানার ও.সি ধ্রুবজয় রিয়াং সহ পুলিশ বাহিনী৷ তিনি এসে গাড়িটিকে মঙ্গিয়া কামী থানায় নিয়ে যায় এবং খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়ার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক তুইতন ত্রিপুরা কে৷ তিনি মঙ্গিয়া কামী থানায় এসে উনার তত্ত্বাবধানে গাড়ি থেকে ফেন্সিডিল গুলো নামিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ উক্ত ট্রিপার গাড়ি থেকে ১৪,৪০০ বোতল ফেন্সিডিল এই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়৷ যার বডিপ্রিন্ট অনুযায়ী আনুমানিক বাজার মূল্য ২৬ লক্ষ্য ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা হবে বলে জানায় ভারপ্রাপ্ত মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তুইতন ত্রিপুরা ও ওসি ধ্রুব জয় রিয়াং৷ কিন্তু খোলাবাজারে এর মূল্য প্রায় ১কোটির কাছাকাছি হবে৷


উক্ত ট্রিপার গাড়িটি এই মাল নিয়ে জিরানিয়া যাচ্ছিল বলে সূত্রের খবর৷ এখন দেখার, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ধরতে পারে কিনা পুলিশ৷ তবে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ কিছু না বললেও পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, চালক মানিক সরকার থেকে এই মালের বহু তথ্য পুলিশ পেয়েছে৷ যদিও তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ বলতে নারাজ সে বিষয় গুলি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *