নয়াদিল্লি, ২৬ মার্চ (হি.স.): তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের অন্নদাতাদের আন্দোলন চলছেই। দেখতে দেখতে কৃষকদের আন্দোলন চার-মাস হয়ে গেল, এখনও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ‘ভারত বনধ’ পালন করল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। ভারত বনধে মৃদু প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। পঞ্জাব ও হরিয়ানার সবথেকে বেশি ভারত বনধ-এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। পঞ্জাবের অমৃতসরে রেল অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। আবার হরিয়ানার আম্বালায় জিটি রোড অবরুদ্ধ করার পাশাপাশি শাহপুরের কাছে রেললাইনে বসে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার সকাল ছ’টা থেকে শুরু হার ‘ভারত বনধ’। এদিন সকালে গাজীপুর সীমানা (দিল্লি-উত্তর প্রদেশ), সিংঘু সীমানায় রাস্তা অবরুদ্ধ করেন কৃষকরা। রাস্তা অবরুদ্ধে করে গাজীপুর সীমানায় রাস্তার উপর বসে পড়েন কৃষকরা। কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে পঞ্জাবে ‘ভারত বনধ’-এর সমর্থন জানান দুধ এবং সব্জি বিক্রেতারা, ফলে দুধ এবং সব্জি সরবরাহ এদিন বিঘ্নিত হয়েছে। আইনজীবীরাও কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছেন। পঞ্জাবে এদিন রাস্তায় দেখা মেলেনি বেসরকারি বাসের। ভাটিন্ডা-চন্ডীগড় জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করেন কৃষকরা। জিরাকপুরে ম্যাকডোনাল্ড পয়েন্টে অবরুদ্ধ করা হয় চন্ডীগড়-আম্বালা সড়ক। আম্বালায় রেল অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে নিউদিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।