লখনউ, ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : নির্বিঘ্নেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় দফার নির্বাচন । কমিশন সূত্রে জানা গেছে রবিবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ। ২০১২ সালের নির্বাচনের এই কেন্দ্রগুলিতে ভোটের হার ছিল ৬০ শতাংশ। ২ শতাংশ বেশি ভোট পড়ছে এই দফায়। তৃতীয় দফায় ৬৯ টি আসনে ৮২৬ জন প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হয়েছে।
তৃতীয় দফার ভোট নিয়ে কাল থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত । তাই রবিবার সকাল হতেই বুথে পৌঁছে যান ভোটাররা । এদিন সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় । কোন বড় ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই বিকাল ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড় ৫১.৫ শতাংশ। এরপর বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ। ২০১২ সালের নির্বাচনের থেকে মাত্র ২ শতাংশ বেশি ভোট পড়ছে এই দফায়।
তৃতীয় দফায় সাধারণ ভোটারের সঙ্গে ভোট দিলেন একগুচ্ছ ভি ভি আই পি-রা । রবিবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী । মালি এভিনিউ এলাকায় ভোট দিয়ে মায়াবতী সাংবাদিকদের জানান, ‘বসপা কম করে ৩০০ আসনে জয়ী হয়ে আগামী সরকার গড়বে।’ পাশাপাশি নিজের ভোট দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেন, বিজেপি আগামী দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
এদিন উত্তরপ্রদেশের ১২ টি জেলার ৬৯ টি আসনে ভোট হয়। যার মধ্যে রয়েছে ফারুক্কাবাদ, মৈনপুরী, ইটাওয়া, হারদৌ, কনৌজ, কানপুর গ্রামীণ, কানপুর শহর, উন্নাও, লখনউ, বারাবাঙ্কি, আর্য এবং সীতাপুর। তৃতীয় দফায় ৮২৬ জন প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হয়েছে। ৬টি জাতীয় রাজনৈতিক দল, ৭ আঞ্চলিক দল, ৯২ টি অন্য রাজনৈতিক দল সহ ২২৫ জন নির্দল প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন এই দফায়। ১২ টি জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২.৪১ কোটি। তৃতীয় দফার ভোটে রয়েছে ১৬,৬৭১ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র এবং ২৫,৬০৩ পোলিং স্টেশন।
তৃতীয় দফার ভোটে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হল মন্ত্রী অরবিন্দ সিং, ফারিদ মেহফুজ কিদোয়াই, বিজয় বাহাদুর পাল, অভিষেক মিশ্র, নীতিন আগরওয়াল, নরেন্দ্র ভার্মা, রাজীব কুমার সিং এবং শিবপাল সিং যাদব। তবে সবার নজর ছিল লখনউ ক্যান্টনমেন্টে যাদব পরিবারের অখিলেশের সৎ ভাই প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণা যাদবের সঙ্গে রীতা বহুগুণা যোশীর লড়াই নিয়ে।
শাসকদল সমাজবাদী পার্টির কাছে তৃতীয় দফার ভোট ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০১২–র নির্বাচনে ৬৯ আসনের মধ্যে ৫৫ টিই নিজেদের দখলে রেখেছিল সমাজবাদী পার্টি। বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল ৬ টি আসন। বিজেপি পায় ৫ টি আসন। কংগ্রেসের দখলে ২ টি। একটি ছিল নির্দলের। ২০১৭–র নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। তাই এবারের ভোট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
2017-02-19