ত্রিদলীয় ফোরামের ডাকা বন্ধ প্রকৃত ইস্যুর সাথে সম্পর্ক নেই, অভিযোগ সিপিএমের

CPIMনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ তিনটি উপজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ফোরামের পক্ষ থেকে রাজ্যের এডিসি এলাকায় বন্ধ অধিকাংশ স্থানেই প্রত্যাখাত হয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী৷ এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীর বিরোধিতার নামে তিনটি উপজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ফোরামের পক্ষ থেকে রাজ্যের এডিসি এলাকায় যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল, অধিকাংশ স্থানেই তা প্রত্যাখাত হয়েছে৷ সুকল, কলেজ, অফিস-আদালত, হাট-বাজার খোলা ছিল৷ অধিকাংশ জায়গায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল৷
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্ধ সফল করার জন্য পিকেটিং এর নামে বনধ সমর্থকরা কয়েকটি স্থানে দোকানিদের উপর হামলা সংগঠিত করেছে৷ গন্ডাছড়া, মাছলি, সাব্রুমের সোনাই বাজারে বন্ধ সমর্থকরা দোকানপাট ভাঙচুর করেছে, দোকনিদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ দোকানি ও স্থানীয় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়৷ এই সব ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই জন আহতকে জিবি হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে৷
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী এই বন্ধ ব্যর্থ করার জন্য এডিসি এলাকার জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং দোকানপাট ও দোকানিদের উপর বিভেদকামী শক্তিগুলোর হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে৷
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এটা উল্লেখ্য, যে বন্ধ আহ্বানকারীরা বিজেপি সরকারের প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করলেও বিজেপির বিরুদ্ধে একটি কথাও না বলে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অবাম দলগুলির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে৷ এর মধ্য দিয়ে ত্রিদলীয় ফোরামের বন্ধ ডাকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকৃত ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই৷ সাম্প্রদায়িক ও বিভেদকামী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে জাতি উপজাতি উভয় অংশের জনগণকে সংঘবদ্ধ করে সিপিআই(এম) ও বামপন্থীরা রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *