নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৮ ফেব্রুয়ারী৷৷ জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দুই গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলাসহ তিনজন৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে কৈলাসহরের ইরানী থানার অধীন শ্রীনাথপুর গ্রামে৷ আহত তিনজনকে জি বি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতাল থেকে৷ আহতদের মধ্যে একজন তীরবিদ্ধ হয়েছেন৷ মহিলাসহ অপরজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী৷ পদস্থ পুলিশ অফিসাররা পরিস্থিতির উপর নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছেন৷
সংবাদে প্রকাশ, শ্রীনাথপুর গ্রামের হীরছড়া এলাকার একটি টিলাজমি নিয়ে বিবাদ চলছিল৷ ঐ এলাকার একাংশ মানুষের অভিযোগ তাদের জমি অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা দখল করে রেখেছে৷ এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে৷ সম্প্রতি স্থানীয় মাতববররা বিষয়টি নিয়ে সভা করেছেন৷ তাতে সমাধানসূত্রও বেরিয়ে আসে৷ তারপর হঠাৎ বুধবার হীরছড়া এলাকার প্রায় ২০-২৫জন দা, লাঠি, তীর-ধনুক নিয়ে অন্য গোষ্ঠীর লোকদের উপর হামলা চালায়৷ ঐ এলাকার বাসিন্দা মুসলীম আলির বাড়িতে যায়৷ তাকে মারধর করা হয়৷ তার স্ত্রী হামিদা খানস এগিয়ে আসলে তাকেও ধারলো দা দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে৷ তখন ঐ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন পথচারী আব্দুল সুকান৷ তিনি চিৎকার চেচামেচি করলে তাকেও ধারালো দা দিয়ে আঘাত করা হয়৷ মুহুর্তের মধ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ যে যেদিকে পারেন ছুটতে থাকেন৷ তখনই হামলাকারীরা ধনুক থেকে তীর ছুড়ে মারতে থাকে৷ তখন একটি তীর গিয়ে বিদ্ধ হয়েছে মুসলীম আলির দেহে৷ রক্তাক্ত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ তাকে বেধরক লাঠিপেটা করা হয়৷ ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়৷ পরে খবর দেওয়া হয় ইরাণী থানায়৷ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৈলাসহর আর জি এম হাসপাতালে৷ তাদের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আগরতলায় জি বি হাসপাতালে রেফার করে দেন৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়েছে৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তবে রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সেজন্য পুলিশের পদস্থ অফিসাররা এলাকা পরিদর্শন করেছে৷ গোটা ঘটনা তদারকি করছেন স্থানীয় এসডিপিও৷
2017-02-09