নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী৷৷ বাবাকে গলা টিপে হত্যার পর মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে৷ আর এই ঘটনায় ছেলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধেও৷ ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার রাতে শহরতলীর ইন্দ্রনগর কলোনীতে৷ মৃত ব্যক্তির নাম রতন ঘোষ৷ বয়স আনুমানিক পয়তাল্লিশ৷ অভিযুক্ত ছেলের নাম নকুল ঘোষ৷ নিহতের স্ত্রীর নাম সরস্বতী ঘোষ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, ইন্দ্রনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা রতন ঘোষ পেশায় অটো চালক৷ কিছুদিন যাবৎ তিনি অসুস্থ৷ তাই অটো চালাচ্ছেন না৷ এনিয়ে পরিবারে বিবাদ চলছিল৷ গতকাল পাশের বাড়িতে কালীপুজার দশমীতেও গিয়েছিল রতন৷ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেই স্ত্রী সরস্বতী ও ছেলে নকুল তার সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়৷ নকুলের বক্তব্য অটোটি তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য৷ কিন্তু, রতন অটো দিতে নারাজ৷ এনিয়ে বাক্বিতন্ডা চরমাকার ধারণ করে৷ একসময় উত্তেজিত হয়ে নকুল তার বাবার গলা টিপে ধরে৷ তিনটি চিৎকার দিয়ে রতন প্রাণ হারায়৷ রতনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন তার মা মাখনা রাণী ঘোষ৷ তিনি এইসব দেখে রীতিমতো বিস্মিত৷ তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন৷ পরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন৷ এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মা ও ছেলে মিলে রতনের মরদেহ বাড়ির উঠানের কাছেই একটি আমগাছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে৷ সোমবার ভোরে মৃতদেহটি জি বি হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা৷ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নকুল ঘোষ চিকিৎসকদের জানান যে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন রতন ঘোষ৷ পরে খবর দেওয়া হয় জি বি ফাঁড়িতে৷ পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে এবং ঘটনার তদন্ত করে নিহতের বাড়িতে যায়৷ তখন মৃত ব্যক্তির মা মাখনা রাণী ঘোষ জানান, তার নাতি ও পুত্রবধু মিলে গলা টিপে হত্যা করেছে৷ এই বিষয়ে একটি মামলা নিয়েছে পুলিশ৷ এদিকে, কিছুদিন পূর্বে মাখনা রাণীর বড় ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷ ছোট ছেলেকে হারিয়ে তিনি রীতিমতো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন৷
2017-02-07