খোয়াইয়েও রোজভ্যালির বহুতল ভবন রাজ্য সরকারের কব্জায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৩১ জানুয়ারি৷৷ রোজভ্যালির বিরুদ্ধে এবার আটঘাট বেঁধে নামল ত্রিপুরা সরকার৷ সারা রাজ্যের

খোয়াইয়ে রোজভ্যালির বহুতল ভবন রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণে নেয় মঙ্গলবার৷ ছবি নিজস্ব৷
খোয়াইয়ে রোজভ্যালির বহুতল ভবন রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণে নেয় মঙ্গলবার৷ ছবি নিজস্ব৷

সাথে পাল্লা দিয়ে খোয়াইতেও রোজভ্যালি অফিস ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ খোয়াই মহকুমা শাসক প্রসূন দে’র উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে অফিসটিলা রোডস্থিত রোজভ্যালির বহুতল বাড়িতে দখল নেওয়া হয়৷ এটিই মূলত রোজভ্যালির খোয়াই জেলার হেড অফিস ছিল৷ মঙ্গলবার রোজভ্যালির বহু কোটি টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল মহকুমা প্রশাসন৷ কিন্তু এক সময় রোজভ্যালির খোয়াই অফিসটি ছিল জীপ স্ট্যান্ড সংলগ্ণ৷ সেখান থেকে অফিসটিলাস্থিত বহুতল ভবনে অফিসটি স্থানান্তরিত হয়৷ আর সেই ফাঁকেই রোজভ্যালির খোয়াই শাখার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি সম্বলিত কম্পিউটারগুলি গায়েব হয়ে যায়৷ আজকের অভিযানে একটি কম্পিউটারও অফিসে পাওয়া যায়নি৷
সারা রাজ্যের সাথে খোয়াইয়ের লক্ষ লক্ষ আমানতকারীর কষ্টার্জিত টাকা রোজভ্যালির কাছে রয়েছে৷ কিন্তু সে টাকা ফেরত পাবার বিষয়ে ধোঁয়াশা কবে কাটবে বা আদৌ কাটবে কিনা তাতে বড়সর প্রশ্ণচিহ্ণ রয়ে গেছে৷ এর মধ্যে আমানতকারীদের পাওনা টাকার তথ্য সম্বলিত কম্পিউটারগুলি গায়েব হবার পর ধোঁয়াশা যেন আরো বেড়ে গেল৷ এমনটাই অভিমত জনগণের৷ তাছাড়া এভাবে অফিস স্থানান্তর এবং পরবর্তী সময় সরকারিভাবে নথিপত্র রোজভ্যালির পুরনো অফিস থেকে নতুন এই অর্ধনির্মিত ভবনে স্থানান্তরের সময় কম্পিউটারগুলি কিভাবে গায়েব হয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ণ উঠছে জনমনে৷ এদিকে, মঙ্গলবার রোজভ্যালির অফিস দখলের সময় গিয়ে দেখা গেল অফিসের ভেতর বহু এসি মেশিন এবং বহু মূল্যবান নথি বিনষ্ট হচ্ছে৷ বহু আসবাবও রয়েছে৷ তবে খোয়াই মহকুমা শাসক প্রসূন দে জানান, বেশ কিছু চেক বই এবং নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সকালে মহকুমা শাসক প্রসূন দে’র উপস্থিতিতে খোয়াই থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে রোজভ্যালির অর্ধনির্মিত এই বহুতল ভবনটি দখল নেয় মহকুমা প্রশাসন৷ খোয়াই জেলায় ছোট বড় চিটফান্ড প্রায় ২০টি কোম্পানি গরিব শ্রমিক মেহনতি মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে এবং খোয়াই জেলায় প্রায় ১২টি চিটফান্ড কোম্পানির নিজস্ব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়ে গেছে৷ যা নামে বেনামে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র৷ অথচ এসব চিটফান্ডগুলির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই৷ উল্লেখ্য, রোজভ্যালি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ত্রিপুরা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা আমানত হিসেবে তুলেছে৷ এর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ টাকা ফেরত পেয়েছেন আমানতকারীরা৷ বাকি টাকার কি হয়েছে তা এখন সিবিআই তদন্তে প্রকাশ্যে আসতে পারে বলে মনে করছেন জনসাধারণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *