গুয়াহাটি, ২২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অসমের অধিকাংশ জেলায় ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে তাপমাত্রা। পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গুয়াহাটির বড়ঝাড় বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) দফতরের জারিকৃত এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অসমের অধিকাংশ জেলায় অত্যধিক তাপমাত্রা ও আর্দ্র আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা সঞ্জয় সাউ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানান, আজ (২২ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটিতে বেলা একটায় ৪০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য কমে হয়েছে ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটিতে গড়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শিলচরে আজ ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে ৪১.০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে, বলেন তিনি।
সঞ্জয় সাউ আরও জানান, অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর, ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দিনের বেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ এবং উচ্চ সৌর দ্রবণ সর্বাধিক তাপমাত্রার কারণ।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, পশ্চিম অসমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.০-৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারে। এছাড়া মধ্য অসম ৩৫.০-৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কবলে পড়তে পারে। এভাবে দক্ষিণ অসমের তাপমাত্রা ৩৪.০-৩৬.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও আগামী পাঁচদিনের মধ্যে ৩৮.০ থেকে ৪১.০ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকালের বুলেটিনের তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যেমন উত্তর লখিমপুরে ৩৮.৬, ডিব্রুগড়ে (এপি) ৩৮.৫, তেজপুরে ৩৮.৫, নগাঁওয়ে ৩৮.২, গুয়াহাটি বিমানবন্দরে ৩৮.২, রঙিয়ায় ৩৮.০, তিনসুকিয়ায় ৩৭.৯, মাজবাটে ৩৭.৮, গোয়ালপাড়ায় ৩৭.৮, ধুবড়িতে ৩৬.৮ এবং যোরহাটে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিরাজমান প্রচণ্ড গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জয় সাউ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘরের বাইরে বেরোলে হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরিধান করলে গরম কিছুটা কম অনুভব হয়। এছাড়া পিক আওয়ারে বাইরে গেলে অবশ্যই মাথা ঢেকে রাখতে টুপি বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে।
এভাবে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পিপাসা না পেলেও পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। কৃষক তথা শ্রমিকদের পিক আওয়ারে সরাসরি সূর্যালোকের দীর্ঘায়িত এক্সপোজার এড়ানো উচিত।
আরেকটি অত্যন্ত জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কোনও অবস্থায় পার্ক করা যানবাহনে শিশু বা গৃহপালিত প্রাণী যেমন কুকুর, পাখি ছেড়ে যাওয়া চলবে না। উপরন্তু দিনের পিক আওয়ারে মিছিল, শোভাযাত্রা এবং সমাবেশের ওপর মনিটর করা খুবই প্রয়োজন।