নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে: হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধিক্কার জানিয়ে উত্তর জেলা ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে বিজেপি প্রদেশ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওবিসি মোর্চার উত্তর ত্রিপুরা জেলা সভাপতি প্রদীপ দেবনাথ, প্রদেশ সম্পাদক রাজেশ নাথ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ নাথ ধর্মনগর উত্তর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জহর চক্রবর্তী এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক সুজিত কান্তি নাথ।
গতকাল হাইকোর্টে ওবিসি এ এবং ওবিসি বি নিয়ে ২০১০ এরপর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যেসব ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে সেই সব সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগে ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যে দেওয়ার সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের দাবি, ২০১০ সালের পর থেকে অফিসের সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। যার ফলে ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মমতা ব্যানার্জি একটা নির্দিষ্ট জাতিকে ওবিসি এ বানিয়ে যে ভোটের রাজনীতি খেলছেন তার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছে ত্রিপুরা বিজেপি প্রতিটি মন্ডল কমিটি। ১৯৫৫ সালে প্রথম ওবিসির ডাক উঠে এবং ১৯৫৭ সালে জহরলাল নেহেরুর আমল থেকে ওবিসিকে অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া জাতিকে কেমন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য ভারতবর্ষের সংবিধান কাজ করে চলেছে।
কিন্তু মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিশেষ একটা জাতিকে ওবিসির মর্যাদা পাইয়ে দিকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাকে ধিক্কার জানিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের রাজনীতির জন্য ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে মমতা ব্যানার্জি যা ধর্মের ভিত্তিতে তিনি করেছেন বলে ওবিসিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
১৭৮ টি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে ভোটের রাজনীতির জন্য ধর্মের উপর জোর দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। শোনা যাচ্ছে হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বলে খবর। কেরালা এবং তেলেঙ্গানাতে ধর্মের ভিত্তিতে যে ওবিসি করা হচ্ছে তাকেও ধিক্কার জানাই ত্রিপুরা রাজ্যের ওবিসি মোর্চা। মমতা ব্যানার্জি চাইছেন যাতে ১৫ শতাংশ রিজার্ভেশন পেয়ে যান একটি নির্দিষ্ট ধর্মের লোক। তার বিরুদ্ধে ত্রিপুরা তথা দেশের ওবিসি মোর্চা সরব হয়েছে বলে জানানো হয় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে।