নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি (হি.স.) : সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এল রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ । রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সময়কাল।
রাত পোহালেই ৭৫ তম সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন করবে ভারত। রীতি মেনে বৃহস্পতিবার সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর তাঁর সাধারণতন্ত্র দিবসের ভাষণে উঠে এল অযোধ্যার রাম মন্দির। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ এই সপ্তাহের শুরুতে, আমরা সকলেই অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের জন্মস্থানে নির্মিত বিশাল মন্দিরে রাম রালালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছি। ভবিষ্যতে, যখন এই ঘটনাটি একটি বিস্তৃত পরিপ্রেক্ষিতে দেখা হবে, ইতিহাসবিদরা এটিকে ভারতের সভ্যতাগত ঐতিহ্যের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তনের ঘটনা হিসাবে ব্যাখ্যা করবেন। যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখন এটি একটি ভব্য স্থাপনা হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এই মন্দির শুধু মানুষের বিশ্বাসই প্রকাশ করে না, বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের দেশবাসীর অগাধ বিশ্বাসেরও প্রমাণ।”
এদিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরি ঠাকুরের কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজের উন্নয়নে ও জনকল্যাণে কার্পুরি ঠাকুরের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি।
ভারতকে গণতন্ত্রের জননী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “দেশ এখন অমৃতকালের সূচনায় রয়েছে। এটা পরিবর্তনের সময়। দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি আমরা। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রত্যেক নাগরিকের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়াও ভারতের মাটিতে হওয়া জি২০ সম্মেলন থেকে দেশের মহাকাশ অভিযান, দেশের ক্রীড়াবিদদের অসাধারণ সাফল্য- নানা বিষয়ই এদিন স্থান পেয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। পাশাপাশি দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ”আসুন আমরা সবাই যেভাবে পারি দেশ ও দেশবাসীর সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করি। এই প্রয়াসে আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা।” হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি
2024-01-25