BRAKING NEWS

মাদ্রাসায় শিক্ষকের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা ছাত্রের


নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই৷৷ আবারও এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র নিগৃহীত হবার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো৷ মাদ্রাসায় অমানসিক মারধরের অভিযোগ এনে সেখান থেকে পালিয়ে এলো মাদ্রাসার এক ছাত্র৷ ঘটনা কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কারখানা পাড়া এলাকায়৷ কৈলাসহরের দেওরাছড়া এলাকার বারো বছরের শরীফ আলী দীর্ঘ দিন ধরে কৈলাসহরের বাবুর বাজার কারখানা পাড়ার হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে৷ কিন্তু সেখানখার মাদ্রাসার শিক্ষক ইমদাদুর রহমান প্রায় প্রতিদিনই শারিরীক ভাবে নিগৃহীত করতো ১২ বৎসর বয়সী শরীফকে৷ হ্যাঁ,ঠিক এমনই অভিযোগ করে শরীফ আলী নিজেই৷ রোববার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষকের অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে  সেখান থেকে পালিয়ে আসে শহরের দিকে৷ শহরে এসে কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় ময়দানে সে চলে যায় এবং কান্নাকাটি করতে থাকে৷ যুবককে কান্না করতে দেখে কলেজের এন.এস.এস ইউনিটের ছাত্র-ছাত্রীদের সন্দেহ হয়৷ তারপর যুবকটিকে জিজ্ঞেস করলে তার নামও ঠিকানা যুবকটি একেকবার একেক ঠিকানা বলছিল৷ যুবকটির কথা বার্তায় ভয়ের আঁচ করতে পেরে এন.এস.এস ইউনিটের ছাত্রছাত্রীরা কৈলাসহর সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার ও চাইল্ড লাইনকে বিষয়টি জানায়৷
চাইল্ড লাইনের কর্মীরা কলেজ স্টেডিয়ামে আসলে সে জানায় তার বাড়ি দেওরাছড়া এলাকায়৷ তার নাম শরীফ আলী৷ সে জানায় যে, বাবুর বাজার কারখানা পাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় সে পড়াশুনা করছে৷ সেখানে তাকে প্রায় প্রত্যেকদিন মারধোর করা হতো৷ তাকে মারধর করত মাদ্রাসার শিক্ষক ইমদাদুর রহমান বলে সে জানায়৷ বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে তারা তাকে জোর করে মাদ্রাসাতে যাওয়ার জন্য বলে৷ তাই বাধ্য হয়ে সে পালিয়ে এসেছে৷ ঘটনাস্থলে তার পিতা কাজল আলী আসলে চাইল্ড লাইনের কর্মকর্তারা জানায় তারা শরীফ আলীকে চাইল্ড লাইনের অফিসে নিয়ে যাবে এবং সেখানে তাকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷পরবর্তী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারে বলে জানান চাইল্ড লাইনের কর্মীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *