লখনউ, ১০ মার্চ (হি. স.) : উত্তরপ্রদেশে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম। ওয়েইসিও প্রচারে যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাগ কাটতে পারল না তাঁর দল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোটা উত্তরপ্রদেশে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে এআইএমআইএম। একটি আসনেও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি এআইএমআইএম প্রার্থীরা।
উত্তরপ্রদেশে এবার মুসলিম ভোট তাঁদের পক্ষে আসবে, এই আশা ছিল ওয়েইসির। তিনি প্রচারে বারবার বিজেপি-র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন। কিন্তু শেষপর্যন্ত কিছুই হল না। ফের যোগী আদিত্যনাথের উপর ভরসা রাখলেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে ৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এআইএমআইএম। সেবার মোট ২ লক্ষের মতো ভোট পেয়েছিলেন ওয়েইসির দলের প্রার্থীরা। এবার এআইএমআইএম-এর ৩৮ জন প্রার্থী ২২.৩ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। তাঁদের দলের ভোট শতাংশ সামান্য বেড়েছে।
এবার আজমগড়ের মুবারকপুর আসনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল এআইএমআইএম। বহুজন সমাজ পার্টি ছেড়ে আসা নেতা গুড্ডু জামালিকে এই আসনে প্রার্থী করে এআইএমআইএম। কিন্তু জয়ের ধারেকাছেও থাকতে পারেননি জামালি। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেছেন, ‘ওয়েইসি যে ধরনের রাজনীতি করেন, সেটার জন্য উত্তরপ্রদেশের মানুষ তৈরি নন। তিনি হয়তো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন, কিন্তু ভোট টানতে পারেন না। তাঁকে বুঝতে হবে, হায়দরাবাদের চেয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি আলাদা।’

