কৈলাসহর, ১০ মার্চ : ঊনকোটি জেলার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে প্রধান সুন্দর আলী পরাজিত হয়েছেন। স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে শাসক দলের চারজন এবং কংগ্রেসের তিন জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামপ্রধান সুন্দর আলীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। অবশ্য কঠোর নিরাপত্তা বলয় এর কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হতে পারেনি।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ১১ সদস্য বিশিষ্ট ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুন্দর আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই স্বজনপোষণের অভিযোগ আনছিলেন শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। স্বজনপোষণের অভিযোগ ব্লকের বিডিও এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নজরেও নিয়েও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েহিল। প্রধানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বাধ্য হয়ে তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত অফিসার এবং গৌরনগর ব্লকের পঞ্চায়েত এক্সটেনশন অফিসার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন মোট সাতজন সদস্য। তাদের মধ্যে শাসক দলের চারজন এবং কংগ্রেস দলের তিনজন সদস্য রয়েছেন। অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে অর্থাৎ প্রধান সুন্দরের পক্ষে ভোট দিয়েছেন শাসক দলের তিনজন সদস্য।
স্বাভাবিক কারণেই ৭-৪ ভোটে প্রধান সুন্দর আলী হেরে যান। অনাস্থা ভোট পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানান, গ্রামপ্রধান সুন্দর আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই স্বজনপোষণ ও আর্থিক নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছিল। প্রধানকে বারবার সতর্ক করার পরও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি তিনি। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তারা অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হন।