ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (হি.স) : বাংলাদেশের দুর্গোৎসবে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর-সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে সরকারে ক্ষমতাসীন দলের। যদিও দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দোষী সন্দেহে অনেককে ধরপাকড় করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানো হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জানালেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতে, “গত কয়েক দিনের হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। দেশের শান্তি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাওয়া কিছু কায়েমী স্বার্থের মানুষ এই কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।’’ হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এর মাঝে শুক্রবার নোয়াখালি জেলার ইসকন মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। কোরান ‘অবমাননার’ অভিযোগে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানটিতে ভাঙচুর চলে। ইসকন মন্দিরের পরিকাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকে খুন করে হামলাকারীরা।