নয়াদিল্লি, ৯ অক্টোবর (হি.স.) : এবার আধুনিক প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হয়েছে দেশের বৃহত্তম পাবলিক ব্রডকাস্টিং সংস্থা প্রসার ভারতীও এবং এনালগ প্রযুক্তির পরিবর্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বৃদ্ধি করছে। প্রসার ভারতী স্পষ্ট করেছে যে, কৌশলগত দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া, বাকি ক্ষেত্রে এবার এনালগ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল টেরিস্ট্রিয়াল টিভি ট্রান্সমিটার গুলি সরানো হবে। প্রসার ভারতী স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই বিষয়ে কিছু স্থানে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যে দূরদর্শনের সঙ্গে যুক্ত কোনও কেন্দ্র বন্ধ হতে চলেছে। প্রসার ভারতী অন্যান্য ফ্রি টু এয়ার প্রাইভেট চ্যানেল-সহ দূরদর্শনের সমস্ত চ্যানেল ডিটিএইচ ডিশের মাধ্যমে উপলব্ধ করাচ্ছে। ডিটিএইচ ডিশটি নূন্যতম খরচে ইনস্টল করা যায় এবং প্রসার ভারতীর সমস্ত চ্যানেলও দেখা যায়।
প্রসার ভারতীর মতে, সামরিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত প্রায় ৫০টি এনালগ টেরেস্ট্রিয়াল টিভি ট্রান্সমিটার ছাড়া, ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে অবশিষ্ট পুরানো এনালগ ট্রান্সমিটারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই ধারাবাহিকতায়, ২০১৭-১৮ তে ৩০৬, ২০১৮-১৯-এ ৪৬৮, ২০১৯-২০ তে ৬ এবং ২০২০-২১-এ ৪৬টি টেরেস্ট্রিয়াল টিভি ট্রান্সমিটার সরানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০২১-২২-এ ৪১২টি ট্রান্সমিটার সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বেশ কিছু মেগাহার্ডসের স্পেকট্রাম মুক্ত হবে এবং পরিচালন ব্যয়ে বছরে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করবে। একইসঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি এবং নতুন সুযোগের দিকও উন্মুক্ত হবে।
প্রসার ভারতীর মতে, কিছু মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এই তথ্যের অভাবের জন্যই বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করেছে। দূরদর্শনের শিলচর কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়ে প্রসার ভারতী জানিয়েছে, অসম রাজ্যের জন্য নিবেদিত দূরদর্শনের স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারের জন্য প্রোগ্রাম আগের মতোই প্রস্তুত হতে থাকবে। এ ছাড়াও, ডিডি অসম ডিজিটাল মিডিয়া ইউটিউব এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দেবে। দেশের সবচেয়ে বড় ব্রডকাস্টার আরও জানিয়েছে, এনালগ টেরেস্ট্রিয়াল টিভি বর্তমানে একটি পুরানো প্রযুক্তি এবং পর্যায়ক্রমে অপসারণ জনসাধারণ এবং জাতির স্বার্থেই প্রয়োজন। এই পুরানো প্রযুক্তির ব্যবহারে বিদ্যুতের খরচ কমানোর পাশাপাশি ৫জি-র মতো নতুন এবং উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য মূল্যবান স্পেকট্রাম উপলব্ধ হবে।