বামিত্ব যোজনা আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রামের উন্নয়ন ও বিশ্বাসের মন্ত্র : প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ৬ অক্টোবর (হি.স.): স্বামিত্ব যোজনা শুধুমাত্র বৈধ কাগজপত্র প্রদানের একটি প্রকল্পই নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রামের উন্নয়ন ও বিশ্বাসের একটি নতুন মন্ত্রও। বুধবার স্বামিত্ব যোজনার একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে মোদী জানিয়েছেন, “এখন সরকার স্বয়ং দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং দরিদ্রদের সশক্ত করছে।” বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশের স্বামিত্ব যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্পের অধীনে ১ লক্ষ ৭১ হাজার সুবিধাভোগীকে ই-প্রপার্টি কার্ড প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে, প্রধানমন্ত্রী স্বামিত্ব প্রকল্প মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং কর্ণাটকের কিছু গ্রামে চালু করা হয়েছিল। এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে ২২ লক্ষ পরিবারের জন্য প্রপার্টি কার্ড তৈরি করা হয়েছে। একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্বামিত্ব যোজনা চালু করা হয়েছিল। আমরা ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রসারিত করছি। এই প্রকল্পে দ্রুত গতিতে কাজ করেছে মধ্যপ্রদেশে, তাই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আজ ৩ হাজার গ্রামের ১ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি পরিবার ‘অধিকার অভিলেখ’ প্রপার্টি কার্ড পেয়েছে, যা সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।” মোদী বলেছেন, “গ্রামের যে ক্ষমতা রয়েছে, গ্রামের মানুষের যে জমি রয়েছে, যে বাড়ি রয়েছে, নিজেদের প্রগতির জন্য তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেন না তাঁরা। অপরদিকে, গ্রামের জমি ও গ্রামের বাড়ি নিয়ে বিবাদ, লড়াই-ঝগড়া, অবৈধ দখলে গ্রামের মানুষের শক্তি, সময় এবং অর্থ নষ্ট হয়েছে। করোনা-পরিস্থিতিতে আমরা দেখেছি কীভাবে ভারতের গ্রাম মিলিত হয়ে এক লক্ষ্যে কাজ করেছে, সতর্কতার সঙ্গে এই মহামারীর মোকাবিলা করেছে।”

স্বামিত্ব যোজনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “স্বামিত্ব যোজনা শুধুমাত্র বৈধ কাগজপত্র প্রদানের একটি প্রকল্প নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রামের উন্নয়ন ও বিশ্বাসের একটি নতুন মন্ত্রও। এই যে ড্রোন উড়ছে, তা ভারতের গ্রামকে নতুন উড়ান দিতে চলেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, “দরিদ্রদের তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সামনে যাতে হাত না পাততে হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করেছি আমরা। এখন চাষের ছোট-ছোট প্রয়োজনে পিএম কিসান সম্মান নিধির অধীনে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। এখন সরকার স্বয়ং দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং দরিদ্রদের সশক্ত করছে।”