নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১ অক্টোবর৷৷ একই মায়ের সন্তান হয়েও অগ্রজ কতৃর্ক অনুজ খুনের ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ ঘটনা উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানার অন্তর্গত খিলপাড়া রাম সাগর ও মহেন্দ্র সাগর নামে পরিচিত জোড়া দিঘির মধ্য পাড়ে৷ ঘটনা আজ সন্ধ্যা আনুমানিক পাঁচ টার সময়৷ সাত বোন পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে এগারোতম বারো৷নাম্বার সন্তানের মধ্যে আর্থিক লেনদেন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটনাস্থলেই অগ্রজের ছুড়ির আঘাতে প্রাণ হারালেন অনুজ টিটু মিঞা খাদিম৷ ঘাতক অগ্রজের নাম নূর মিয়া খাদিম৷ নিহত টিটু মিঞা খাদিমের মেয়ের বিয়ের সময় তার চার নাম্বার ভাই নূর মহম্মদ খাদিমের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে ছিলো নিহত টিটু মিঞা খাদিম৷
এই ধারের টাকা না পেয়ে একই উঠানের উত্তরে ও দক্ষিণ অবস্থিত দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো৷ মাঝে উদয়পুর মহকুমাতে হাঁস মুরগীর একটা মড়ক লাগে এবং গ্রামের অনেকেরই হাঁস মুরগী মরে যায়- তখন আগুনে ঘৃতাহুতি দেওয়ার মতো ঘাতক নূর মোহাম্মদের স্ত্রী নিহত টিটু মিঞার পরিবারের সাথে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো৷ এমতাবস্থায় করুনা আবহের কারনে উভয় পরিবারেরই অর্থনৈতিক সংকটে অবতীর্ণ৷হাঁস মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই বেঢক(সোহারব মিঞা খাদিম ) মিঞার ঘরে আজ বিকাল আনুমানিক পৌনে পাঁচ টায় নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে এক সালিশি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল এমন সময় বাক্যালাপ চলাকালীন সময়ে ঘাতক নূর মোহম্মদ ছোট ভাই টিপুর শরীরে এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালাতে থাকবেন৷এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালানোর ফলে টিটু মিঞা খাদিম বড় ভাইয়ের ছুড়ির আঘাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান৷
পরবরতীতে টেপানি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এদিকে এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালিয়ে ঘটনা স্থল থেকে ঘাতক অগ্রজ নূর মোহাম্মদ খাদিম এলাকা থেকে পালিয়ে যায়৷ পরবর্তী সময়ে রাধাকিশোরপুর থানার দারোগা রাজীব দেবনাথ , মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়৷ পরে ফরেনসিক টিম , এবং ডক স্কোয়াড এনে তদন্ত শুরু করে ছেন৷ গোটা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে৷ ভাইয়ে ভাইয়ে এই ঝগড়ার ঘটনায় গোটা এলাকায় মানুষ ছি ছি রব উঠেছে৷ টিটুর নিথর দেহ আগামী কাল পোষ্টমরটমের পর নিকট আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং ইসলাম ধর্মের নিয়ম মেনে দেহ সৎকার করা হবে৷ ঘটনার আই ও দেবব্রত বিস্বাস৷

