নয়াদিল্লি, ১৭ অক্টোবর: জনপ্রিয় ইউটিউবার এলভিশ যাদব ও গায়ক রাহুল যাদব ওরফে ফাজিলপুরিয়ার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন এবং মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই চার্জশিট জমা পড়েছে ১৩ অক্টোবর, গুরগাঁওয়ের বিশেষ পিএমএলএ (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন) আদালতে।
চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট চারজনের — এলভিশ যাদব (২৮), ফাজিলপুরিয়া (৩৫), স্কাই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সেই সংস্থার ডিরেক্টর গুরকরণ সিং ধালি ওয়ালের। আদালত এখনো অভিযোগপত্রের উপর আনুষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা ঘোষণা করেনি।
ইডির দাবি, ২০২৩ সালের মার্চে ইউটিউবে আপলোড হওয়া এক ভিডিও থেকে এলভিশ যাদব ৮৪,০০০ টাকা আয় করেন, যেখানে জ্যান্ত সাপ ও ইগুয়ানা-র মতো সুরক্ষিত বন্যপ্রাণী ব্যবহার করা হয়েছিল। ভিডিওটির শিরোনাম ছিল: ফাজিলপুরিয়া ভাই কে শুট পে রাশিয়ান সে মুলাকাত হো হাই গেই @ফাজিলপুরিয়া এবং এটি বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন- এর শব্দ ধারা লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি সংস্থা।
অন্যদিকে, ফাজিলপুরিয়া তার ৩২ বোর মিউজিক ভিডিওতে একইভাবে সুরক্ষিত সরীসৃপ ব্যবহার করেন এবং ইডির তদন্ত অনুযায়ী তিনি ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি অবৈধ আয় করেন এই ভিডিও থেকে। ফাজিলপুরিয়ার কনটেন্ট ম্যানেজ ও মনিটাইজ করার দায়িত্বে থাকা স্কাই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও এই লেনদেনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে, ইডি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে ফাজিলপুরিয়ার একটি ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং এলভিশ যাদবের সঙ্গে যুক্ত ৮৪,০০০ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট অস্থায়ীভাবে সংযুক্ত করেছে।
ইডির অভিযোগ, এই দুই কনটেন্ট ক্রিয়েটর অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করে জনপ্রিয়তা ও অর্থ উপার্জন করেছেন, যা সরাসরি ভারতের আইন লঙ্ঘন করে। ভিডিওগুলি ইউটিউবে প্রকাশিত হয় এবং সেগুলোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা হয় স্কাই ডিজিটালের মাধ্যমে।
এই মামলা শুরু হয়েছিল নয়ডা ও গুরগাঁও পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে। এলভিশ যাদবকে আগে নয়ডা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরবর্তীতে ইডি তাদের নিজস্ব তদন্ত শুরু করে এবং এখন এই চার্জশিটে একাধিক আইনের অধীন অপরাধ তুলে ধরা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছেপিএমএলএ, এনডি আইন, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ও দণ্ডবিধি (আইপিসি)।

