পাল্টি খাওয়ার রাজনীতি : বিজেপি জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের তিপরা মথার বিধায়কের হুশিয়ারি জানেন না প্রদ্যোত

আগরতলা, ৫ জুলাই : পাল্টি খাওয়া মনে হয় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারণ, দলীয় বিধায়ক বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুশিয়ারি দিচ্ছেন জানেনই না তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তাঁর দাবি, সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক রঞ্জিত দের্ববমা কি বলেছেন তিনি জানেন না। এবিষয়ে বিধায়কের সাথে তিনি আলোচনায় বসবেন। অবশ্য, সাথে তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকারও চেষ্টা করেছেন। তাঁর মতে, সকলেই হতাশায় ভুগছেন। তাই, হয়তো জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়ে রঞ্জিত বলেছেন।

আজ কিছুক্ষণ আগে তিপরা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মানছে না রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। তাই শীঘ্রই বিজেপি জোট সরকার থেকে সর্মথন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবে তিপরা মথা। আাগমী ২০ জুলাই দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণও সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু উল্টো রথযাত্রার উৎসবে গিয়ে পুরো উল্টো কথাই বলছেন তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।

তাঁর দাবি, রঞ্জিত সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, সে-বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি, সেখানে কি বলেছেন তাও তিনি জানেন না। তবে, এবিষয়ে বিধায়কের সাথে আলোচনায় বসবেন তিনি। প্রদ্যোতের বক্তব্য, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে তিপ্রাসারা হতাশায় ভুগছেন। চুক্তির ১৮ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করছে না কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। উপরন্তু, এডিসি এলাকায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে অবৈধভাবে বাংলাদেশীরা বসবাস শুরু করছেন। তিপ্রাসারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার সাথে কথা হয়েছে, বলেন প্রদ্যোত।

তাঁর দাবি, চলতি মাসের সপ্তাহান্তে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের দেখা করার জন্য সময় মিলেছে। ত্রিপক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁর সাথে কথা হবে। কারণ, তিপ্রাসারা ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে, সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন প্রদ্যোত।

Leave a Reply