ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে ম্যাচ পয়েন্ট মিসের ব্যাখ্যা দিলেন ইয়ানিক সিনার

প্যারিস, ৯ জুন: ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে ঐতিহাসিক এক ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর প্রথমবার মুখ খুললেন ইতালির ইয়ানিক সিনার। ম্যাচের চতুর্থ সেটে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট মিস করে ম্যাচ হারার বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে নিজের হতাশা ও মানসিক অবস্থার কথা জানান তিনি।

“আমি প্রতিটি সেট ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি,” বলেন ২২ বছর বয়সী সিনার। “চতুর্থ সেটে যা হয়েছে, তা অবশ্যই হতাশাজনক ছিল।”

রবিবারের এই রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে সিনার প্রথম দুই সেট জিতে এগিয়ে ছিলেন এবং চতুর্থ সেটে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় আলকারাজের সার্ভে ০-৪০ স্কোরে তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট পান। কিন্তু একটিও রূপান্তর করতে পারেননি তিনি। এরপর আলকারাজ টাইব্রেক জিতে ম্যাচে সমতা ফেরান এবং শেষপর্যন্ত ৪-৬, ৬-৭ (৪/৭), ৬-৪, ৭-৬ (৭/৩), ৭-৬ (১০/২) স্কোরে জয় লাভ করেন। এটি ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে দীর্ঘতম ফাইনাল ম্যাচ হয়ে ওঠে।

“এই পরাজয় অবশ্যই কষ্টের। তবে খুব বেশি কিছু বলার নেই এখন,” বলেন একান্তভাবে হতাশ সিনার। “ম্যাচটি খুবই উচ্চ মানের ছিল। দীর্ঘ ছিল। এমনটা হয়। আমরা আগেও দেখেছি—এবার আমার সাথেই হলো।”

মেলবোর্নে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ে ড্যানিল মেদভেদেভের বিপক্ষে দুই সেট পিছিয়ে থেকেও ফিরে এসেছিলেন সিনার। কিন্তু এবার নিজেই দেখলেন তার বিপরীত রূপ।

“চতুর্থ সেটের পরেও আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়িনি। তাকে কোনো সহজ পয়েন্ট দিইনি,” বলেন সিনার।

পরাজয়ের কষ্ট থাকলেও সিনার ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদী। “এমন টেনিস আমরা খেলতে পারি, এটা দেখানো আনন্দের। এটা খেলাধুলা ও দর্শকদের জন্য ভালো। আমি এর অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

নিজের পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের ভূমিকাও তুলে ধরেন তিনি। “আমার বাবা আজকেও কাজ করছিলেন—সে উপস্থিতই ছিল না। আমাদের পরিবারে কিছুই বদলায় না সফলতা বা ব্যর্থতায়। আমরা সাধারণ মানুষ।”

এই পরাজয়ের ধাক্কা সামলে উঠেই এখন উইম্বলডনের দিকে তাকিয়ে সিনার। “হ্যাঁ, এটা ব্যথার। কিন্তু আপনি কাঁদতে কাঁদতে বসে থাকতে পারেন না। এমনটা হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *