আগরতলা, ৯ জুন : কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কৃষি-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ‘বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান’-এর মূল উদ্দেশ্য, বলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের ঐতিহাসিক ওল্ড টাউন হলে আয়োজিত নবম দিনের এক কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “২৯ মে থেকে দেশজুড়ে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকদের জ্ঞানগত ঘাটতি দূর করা হচ্ছে। শুধু ত্রিপুরায় আজকের দিন বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা ১.২০ লক্ষ কৃষকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ১.৭০ লক্ষ, এবং আমরা তা ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।”
মন্ত্রী জানান, “আজ একদিনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৭২টি সচেতনতা সভা হয়েছে। পুরো অভিযানের আওতায় মোট ৮৬৪টি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।” এই উদ্যোগের দ্বৈত লক্ষ্য সম্পর্কে নাথ বলেন—একদিকে কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া, অন্যদিকে তাদের সরকারি প্রকল্পগুলির সুযোগ গ্রহণে সক্ষম করে তোলা।
“বিকশিত কৃষি সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করছি যে কৃষকরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ভর্তুকি পেতে পারেন এবং সর্বোত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এর ফলে উৎপাদন বাড়বে, কৃষকের আয়ও বাড়বে। এত বড় পরিসরে কখনও এমন ক্যাম্পেইন হয়নি,” বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, এই অভিযানের আওতায় রাজ্যজুড়ে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। “মাটির গুণমান বুঝে কৃষকরা কোন শস্য লাগাবেন, কী পরিমাণ সার ব্যবহার করবেন—তা নির্ধারণ করতে পারছেন। এর ফলে কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।” এই অভিযান চলবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত। ত্রিপুরার প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে কৃষকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সুবিধা পৌঁছে দেওয়াই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।