নয়াদিল্লি, ৯ মে : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দেশের চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে.পি. নাড্ডা।
এই পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিষেবার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে দেশের সমস্ত হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির কার্যক্ষমতা এবং নজরদারি ব্যবস্থার বিষয়ে বিশেষভাবে অবহিত করা হয়েছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সভাএ এই মুহুর্তে যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান “অপারেশন সিন্দুর”-এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা চালিয়েছে। ওই অভিযানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বুধবার পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। এই অভিযান ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগামের জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ।
এর আগে শুক্রবার সকালে সাউথ ব্লকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দিল্লির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠি, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং এবং প্রতিরক্ষা সচিব আর.কে. সিং।
এদিকে, ৮ ও ৯ মে’র মধ্যবর্তী রাতে ভারতীয় সেনা জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তে পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন হামলার সফলভাবে প্রতিরোধ করেছে এবং যোগ্য জবাব দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ৮ ও ৯ মে রাতের মধ্যবর্তী সময়ে পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে একাধিক ড্রোন ও বিস্ফোরক হামলা চালায়। একইসঙ্গে তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় বাহিনী সমস্ত হামলা প্রতিহত করে এবং শক্তিশালী জবাব দেয়। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো শত্রু কার্যকলাপের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই পর্যালোচনা সভা দেশব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও সজাগতার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।