ইমফল: মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী বড়সড় অভিযান চালিয়ে ১১ জন সক্রিয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। ৭ ও ৮ মে—এই দুই দিন ব্যাপী অভিযান চলাকালীন রাজ্যের ইমফল, থৌবল, বিষ্ণুপুর ও সংলগ্ন এলাকায় একাধিক স্থানে তল্লাশি চালানো হয়।
৮ মে থৌবল জেলার লামডিং খুমন্থেম লাইকাই এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কেএসপি (এমএফএল)-এর চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম, নিংথৌজম অমিত্র সিং, ফাইরেমবম মাংলেমনগনবা মেইতেই, চেসাবা উমার আলি, ইয়ুমনাম অঙ্গাওসানা সিং। তারা একাধিক অপহরণ, তোলাবাজি ও সরকারি অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হুমকির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ।
তাদের কাছ থেকে একটি দেশি ৯ এমএম পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি গ্রেনেড, মোবাইল ফোন, ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
একই দিনে ইমফল পশ্চিম জেলার সেকমাই বাজার এলাকা থেকে কেএসপি (নয়ন-এমএফএল)-এর সদস্য ইয়ুমনাম বিদ্যাসাগর মেইতেই-কে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ মে একটি পৃথক অভিযানে অপহৃত মো. সদাম হোসেন-কে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে লম্ফেল এলাকার আরআইএমএস কমপ্লেক্স থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অভিযুক্ত তিনজন ইউএনএলএফ(পি)-এর সদস্য হলেন, লাইশ্রম অমরজিত সিং, খুমন্থেম মতিলাল সিং, ইয়ুমনাম হিটলার মেইতেই। তাদের কাছ থেকে ৯ এমএম পিস্তল, গুলি, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, আধার কার্ড ও একটি চার চাকার গাড়ি উদ্ধার হয়।
এছাড়া, খুমান লমপাক স্পোর্টস কমপ্লেক্স এলাকা থেকে কেএসপি (পিডব্লিউজি)-এর সদস্য সাগোলসেম বোবো মেইতেই এবং বিষ্ণুপুর জেলা থেকে খুন্দ্রাকপম নরেশ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। উভয়েই তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ।
আরও এক অভিযানে, কেএসপি (নয়ন)-এর সদস্য হিদাম আবয় সিংকে ইমফল পূর্ব জেলার নংগ্রেন মানিং লাইকাই এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশ এই সময় আরও তিনটি চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেছে এবং রাজ্যজুড়ে একটি বিশেষ অভিযানে ৭৬টি গাড়ি থেকে কালো কাচ সরানো হয়েছে।
এই ধারাবাহিক অভিযানগুলিকে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় জঙ্গি ও চাঁদাবাজি চক্র গুলিকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।