BRAKING NEWS

অভিযান শ্রম দফতরের, ক্যানিং থেকে উদ্ধার দুই শিশু শ্রমিক

ক্যানিং,৫ জুলাই (হি. স.): গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক, শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এনজিওর সদস্য ও ক্যানিং থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করল ক্যানিং মহকুমা শ্রম দফতর। শ্রম আধিকারিক তন্ময় মণ্ডল, মিহির নস্কর ও শুভেন্দু সর্দারের তৎপরতায় বারো বছরের দুই শিশু শ্রমিককে ক্যানিংয়ের সাতমুখী বাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। দুই শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে তাঁদেরকে আপাতত দিগম্বরপুর অঙ্গীকার নামে একটি সরকারী হোমে রাখা হয়েছে। শুক্রবার হোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকে।

শ্রম দফতর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানিং ১ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে বিভিন্ন দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে কাজ করানোর অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের কাউন্সিলর অর্পিতা রায় চৌধুরী, পুলিশ ও স্থানীয় এনজিওর দুই প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়েই শ্রম দফতরের আধিকারিকরা অভিযান শুরু করেন। যদিও প্রথম পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কোন সাফল্য আসেনি। আগেই এই অভিযানের খবর পেয়ে শিশু শ্রমিকদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান আধিকারিকদের। তবে সাতমুখী বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে ক্রেতা সেজে খাবার কিনতে গিয়ে এই দুই শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। কেন শিশু শ্রমিককে কাজে রেখেছেন রেস্টুরেন্ট মালিক সে বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করেন তাঁরা। রেস্টুরেন্ট মালিক লতিফ শেখ বলেন, “ ওদের বাবা মা কাজে দিয়ে গেছে। বাড়িতে অভাব রয়েছে, ঠিকমত খেতে পারে না। এখানে কাজ করে খেতে পায়, মাস শেষে টাকাও পায়। তাই রেখেছিলাম। আর কখনও শিশু শ্রমিক রাখবো না।” ধৃত এক নাবালকের বাবা মুন্না গাজী বলেন, “ স্কুলে ভর্তি করেছিলাম কিন্তু পড়াশুনা করলো না। এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। আমি গরিব মানুষ দুবেলা ঠিকমতো খেতে দিতে পারিনা। তাই কাজে দিয়েছিলাম।”

ক্যানিং মহকুমা শ্রম আধিকারিক তন্ময় মণ্ডল বলেন, “ আমরা স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই অভিযানে যাই। আপাতত দুজন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছি। আগামী দিনেও এই শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।” অর্পিতা বলেন, “ উদ্ধার হওয়া শিশুদের যথাযথ কাউন্সিলিং করে তাঁদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে ওদের সুস্থ জীবনযাপণের জন্য।”

ক্যানিং,৫ জুলাই (হি. স.): গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক, শিশু সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এনজিওর সদস্য ও ক্যানিং থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দুই জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করল ক্যানিং মহকুমা শ্রম দফতর। শ্রম আধিকারিক তন্ময় মণ্ডল, মিহির নস্কর ও শুভেন্দু সর্দারের তৎপরতায় বারো বছরের দুই শিশু শ্রমিককে ক্যানিংয়ের সাতমুখী বাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। দুই শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে তাঁদেরকে আপাতত দিগম্বরপুর অঙ্গীকার নামে একটি সরকারী হোমে রাখা হয়েছে। শুক্রবার হোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাদেরকে।

শ্রম দফতর সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানিং ১ ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে বিভিন্ন দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্টে কাজ করানোর অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের কাউন্সিলর অর্পিতা রায় চৌধুরী, পুলিশ ও স্থানীয় এনজিওর দুই প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়েই শ্রম দফতরের আধিকারিকরা অভিযান শুরু করেন। যদিও প্রথম পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কোন সাফল্য আসেনি। আগেই এই অভিযানের খবর পেয়ে শিশু শ্রমিকদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান আধিকারিকদের। তবে সাতমুখী বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে ক্রেতা সেজে খাবার কিনতে গিয়ে এই দুই শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। কেন শিশু শ্রমিককে কাজে রেখেছেন রেস্টুরেন্ট মালিক সে বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করেন তাঁরা। রেস্টুরেন্ট মালিক লতিফ শেখ বলেন, “ ওদের বাবা মা কাজে দিয়ে গেছে। বাড়িতে অভাব রয়েছে, ঠিকমত খেতে পারে না। এখানে কাজ করে খেতে পায়, মাস শেষে টাকাও পায়। তাই রেখেছিলাম। আর কখনও শিশু শ্রমিক রাখবো না।” ধৃত এক নাবালকের বাবা মুন্না গাজী বলেন, “ স্কুলে ভর্তি করেছিলাম কিন্তু পড়াশুনা করলো না। এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়। আমি গরিব মানুষ দুবেলা ঠিকমতো খেতে দিতে পারিনা। তাই কাজে দিয়েছিলাম।”

ক্যানিং মহকুমা শ্রম আধিকারিক তন্ময় মণ্ডল বলেন, “ আমরা স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই অভিযানে যাই। আপাতত দুজন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করেছি। আগামী দিনেও এই শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।” অর্পিতা বলেন, “ উদ্ধার হওয়া শিশুদের যথাযথ কাউন্সিলিং করে তাঁদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে ওদের সুস্থ জীবনযাপণের জন্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *