BRAKING NEWS

শেষ লগ্নে প্রচারে ঝড় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমারঘাট, ২৪ এপ্রিল: পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের পর পূর্ব ত্রিপুরার লোকসভা আসনেও শেষ লগ্ন পর্যন্ত প্রচারের মাঠ চষে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসক দলের নেতৃত্বরা। আজ পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের সরব প্রচার  সমাপ্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, বিপ্লবকুমার দেব, প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াদের মত নেতারা পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সাবরুম থেকে  কাঞ্চনপুর পর্যন্ত গোটা রাজ্য চষেছেন। শুধুমাত্র জনসভা নয়, বাড়ি বাড়ি প্রচারে অংশ নিয়েছেন,রোডশো করেছেন। সড়ক প্রচারের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত  নির্বাচনী ময়দান ছেড়ে চলে যাননি।

মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা আজ বুধবার কুমারঘাটে বিরাট এক রোডশোর মাধ্যমে সরব প্রচার সমাপ্ত করেন। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সম্পাদক সহ হাজারো কর্মী সমর্থক।

ত্রিপুরায় অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় পর্বে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া আগামী ২৬ শে এপ্রিল। মুখ্যমন্ত্রী কুমারঘাট মহাকুমার দুদিনের সফরে বুধবার ভর দুপুরে কুমারঘাটে অনুষ্ঠিত হয় রোডশো। হাজার হাজার গণদেবতাদের উপস্থিতিতে রাজপথ কাঁপিয়ে ঢাক-ঢুল পিটিয়ে সেই রোড শো করলেন বিজেপি এবং তাদের শরিক দল। ভারতীয় জনতা পার্টির পাবিয়াছড়া মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত সেই রোডশোতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্জী। প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্বরা। র‍্যালীটি পাবিয়াছড়া মন্ডলে অফিস থেকে শুরু হয় এবং কুমারঘাট শহর পরিক্রমা করে পুনরায় মন্ডল অফিসের সামনে সমাপ্তি হয়।

এদিন সরব প্রচারের শেষ পর্যায়ে আশারামবাড়িতেও একজন সভায় মিলিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন কমিউনিস্টরা জনজাতিদের ভোট বাক্সে পরিণত করেছিল। তারা জনজাতিদের কুড়িটি আসনকে ভোট বাক্স হিসেবে বিবেচনা করত। কুড়িটি আসনের পর থেকেই তাদের গণনা শুরু হতো। তবে জনজাতিদের প্রকৃত উন্নয়নে তারা কিছুই ভাবেনি। গরিবের সরকার বললেও গরিব কল্যাণে কোন কাজ করেনি সিপিএম। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করছে। কংগ্রেস এবং সিপিএমের কোন ভবিষ্যৎ নেই। তাই বিজেপির পক্ষেই ভোটদানের আহ্বান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিকে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপির প্রচারে ব্যাপক জনসমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বুধবারের প্রচারে শেষ লগ্নেও প্রচুর জনসমর্থন নিয়ে বিজেপির রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারঘাটে। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা
বড় কোনো অঘটন না ঘটলে পিতা কিরীট বিক্রম, মাতা বিভূ দেবীর পাশে কন্যা কৃতি সিংও সাংসদ হিসাবে নাম যুক্ত করতে চলছেন। 

উল্লেখ্য, ত্রিশটি বিধানসভা নিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসন। এর মধ্যে তেরোটি উপজাতি সংরক্ষিত, তিনটি তপশীল সংরক্ষিত। সংরক্ষিত সবকয়টি আসন বিজেপি এবং মোথা দলের দখলে রয়েছে। ত্রিশটি বিধানসভার মধ্যে মাত্র ছয়টি সিপিএম এবং কংগ্রেস জোটের দখলে। বাকি কেন্দ্রগুলি তিপ্রা মথা,বিজেপি এবং আইপিএফটির দখলে।

গত লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যানে কিন্তূ পূর্বত্রিপুরা আসন শাসক দলের দিকে ঝুকে রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ভোট পেয়েছিলেন ৪,৮২১২৬, কংগ্রেস প্রার্থী প্রজ্ঞা দেববর্মা পান ২,৭৭ ৮ ৩৬ ভোট , সিপিএম প্রার্থী জিতেন চৌধুরী পান ২,০০৯৬৩ ভোট, আইপিএফটির নগেন্দ্র দেববর্মা পান ৪৩,৩০৪ ভোট। বিজেপি প্রার্থী রেবতি ত্রিপুরা ২,০৪,২৯০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। এবার বিজেপি, তিপ্রা মথা, আইপিএফটি এই তিন দলের  জোট না কংগ্রেস সিপিএমের ইন্ডিয়া জোট জয়ী হবে তার জন্য গণদেবতাদের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *