BRAKING NEWS

পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে নির্বাচন শেষ হতেই পূর্ব ত্রিপুরা আসনের প্রচারে শামিল মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, পানিসাগর, ১৯ এপ্রিল: পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোটের প্রচার শেষ হতেই পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনে ভোট প্রচারে শামিল হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উত্তর জেলার পানিসাগরে পূর্ব ত্রিপুরা তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত কেন্দ্রে প্রার্থী মহারানী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে  প্রচারে সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা। 

উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগরের মুক্তমঞ্চে শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার উপস্থিতিতে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মার সমর্থনে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, পানিসাগরের জনপ্রিয় বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ,, উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, টিআইডিসির চেয়ারম্যান নবাদুল বণিক এবং উত্তর ত্রিপুরা বিজেপি দলের সভাপতি কাজল দাস। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।

দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি জি সাধারণ মানুষের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছেন। ২০১৮ সালে এই মোদিজীর কল্যাণে কৃপা রাজ্য একটা কুশাসন এবং দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষ উৎসাহের মেজাজে ভোট দিচ্ছেন কিন্তু নির্বাচনের শেষে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিদের বলতে শোনা যাবে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে এই রাজ্যে। আগে ভোটের আগে চলতো সন্ত্রাস ভোটের দিন চলতো সন্ত্রাস এবং ভোট শেষ হলে হত নির্বাচনের পরবর্তী সন্ত্রাস।

২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সময় উপনির্বাচনে কোন ধরনের সন্ত্রাস ছাড়া এই রাজ্যে যেভাবে ভোট পর্ব সম্পন্ন হয়েছে তাতে সারা রাজ্যের মানুষের নজর পড়ে গেছে। কারণ বিজেপি কখনো সন্ত্রাস বা অশান্তিতে বিশ্বাসী নয়। বামফ্রন্টের আমলে এই রাজ্য সন্ত্রাসের রাজ্য বলে চিহ্নিত ছিল। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলার মত কোন ক্ষমতা নেই। কারণ কমিউনিস্টরা বিশ্বাসী নয়।  তারা ক্ষমতা দখল করে শ্রমিকদের শোষণ করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে মূলমন্ত্র। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হিমান্ত নিয়ে সমস্যা উগ্রপন্থী সমস্যা নিরসন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।

২০১৪ সালের পর থেকে এই ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ ক্রমাগত চলছে। ৩৭০ ধারা বিলোভ করে জম্বু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার সুবিধা করে দিয়েছে মোদি সরকার। তিন তালাক বিলুপ করে সংখ্যালঘু মহিলাদের যে অধিকার রয়েছে তা দিতে সক্ষম হয়েছে এ সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ রামময় হয়ে গেছে। বাম আমলে স্বর্ণযুগ বলে নেতাদের মুখে শোনা গেলেও কোথায় সোনা পাওয়া যায়নি অথচ ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যে হীরার যুগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্য বিশাল উন্নতি সাধন করেছে। ১৮ থেকে বিশটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজ্য থেকে বের হচ্ছে আর লোকাল ট্রেন গুলি যোগ করলে ২২ থেকে ২৪ টি ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থায় জড়িয়ে আছে। বলতে গেলে সারা ভারতবর্ষে এক অভূতপূর্ন উন্নতি সাধন হোক ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।

তৃতীয় বার বিজেপি সরকারকে আরেকবার প্রতিষ্ঠা করতে দিন এই সরকার কি পরিমান উন্নতি করতে পারে তা সবাই বুঝতে পারবেন। তাই দেশের স্বার্থে আগামী প্রজন্মের স্বার্থে কয়েক দশক ধরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে তৃতীয়বার মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একান্ত প্রয়োজন। ২৬  এপ্রিল পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে মোদিকে এই আসনটি উপহার দেওয়ার জন্য সবার কাছে আবেদন জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *