BRAKING NEWS

পৃথক স্বশাসিত রাজ্য না হলে কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার : এএসডিসি-প্রার্থী

হাফলং (অসম), ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : ভারতীয় সংবিধানের ২৪৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবি পূরণ না হলে পশ্চিম কার্বি আংলং, কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার, মন্তব্য ৬ নম্বর তফশিলি জনজাতি সংরক্ষিত ডিফু সংসদীয় কেন্দ্রের অটোনমাস স্টেট ডিমান্ড কমিটি (এএসডিসি)-র প্রার্থী জৎসন বে।

আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ নম্বর ডিফু সংসদীয় আসনে নির্বাচন। ইতিমধ্যে কংগ্রেস, বিজেপি, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এপিএইচএলসি, এএসডিসি-র প্রার্থীরা তিনটি পাহাড়ি জেলায় ব্যাপক প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার ডিমা হাসাও জেলায় ভোট প্রচারে এসে পৃথক স্বশাসিত রাজ্য গঠন ইস্যু সহ তিনটি পাহাড়ি জেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এএসডিসিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান জৎসন বে। হাফলঙে এএসডিসি-র জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এএসডিসি-প্রার্থী জৎসন বে বলেন, কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলাকে নিয়ে দীর্ঘদিনের পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবি পূরণ না হলে এই তিনটি পাহাড়ি জেলার ভবিষ্যৎ অন্ধাকার। তিনি বলেন, এএসডিসি ১৯৮৬ সাল থেকে পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। যতদিন পর্যন্ত পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবি পূরণ হবে না, ততদিন এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জৎসন বে বলেন, পৃথক স্বাশাসিত রাজ্যের দাবি থেকে তাঁরা কোনও অবস্থায় সরে আসবেন না। বলেন, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার, এএসডিসি, কার্বি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই সমঝোতাপত্রে রাজ্য সরকারের ৩০টি বিভাগের ক্ষমতা কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদ এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্রের পুরোপুরি সমাধান হয়নি, বলেন তিনি।

এএসডিসি-প্রার্থী বলেন, এই চুক্তিতে কিছু ফাঁকফোকর রয়ে গেছে। পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই তিনটি পাহাড়ি জেলার ভবিষ্যৎ বদলাবে না। তিনি বলেন, কার্বি আংলং জেলার জনসংখ্যা ১১ লক্ষ এবং মিজোরামের জনসংখ্যা হচ্ছে ১১ লক্ষ। অথচ মিজোরামে প্রত্যেক বছর ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এবং কার্বি আংলং জেলায় বরাদ্দ হয় মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং সিএএ প্রণয়ন হলে এই তিন জেলার জনজাতি জনগোষ্ঠীর কাস্টমারি আইন, সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তিনটি পাহাড়ি জেলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং সিএএ-র মতো আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে বার-কয়েক স্মারকপত্র প্রদান করা হয়েছে এএসডিসির পক্ষ থেকে। কিন্তু এই পাহাড়ি জেলাগুলিতে কংগ্রেস, বিজেপি, এপিএইচএলসির মতো দলগুলি এর বিরোধিতা করেনি এখন পর্যন্ত বলে।

এই অভিযোগ উত্থাপন করে জৎসন বে বলেন, ষষ্ঠ তফশিলির অন্তর্গত কার্বি আংলং, পশ্চিম কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলায় যে বিজেপি সরকার পঞ্চায়েতরাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এএসডিসি এরও তীব্র বিরোধিতা করে এই তিন জেলায় ষষ্ঠ তফশিলিকে সুরক্ষিত করার স্বার্থে লোকসভা নির্বাচনে জনগণকে এএসডিসির পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান জৎসন বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *