BRAKING NEWS

(রাউন্ড আপ) আগামী ৫ বছরের জন্য উন্নয়নের গ্যারান্টি নির্বাচন করবেন আপনারা, সোলাপুর এবং সাতারায় আয়োজিত সভা থেকে মোদী

মুম্বই, ২৯ এপ্রিল (হি.স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, সোমবার মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এবং সাতারায় আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস এবং মহাবিকাশ আঘাড়ির দুর্নীতিকে তীব্র নিশানা করেন। এই কর্মসূচিতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রাম দাস আঠাওয়ালে, সোলাপুরের প্রার্থী শ্রী রাম সাতপুতে এবং সাতরা লোকসভার প্রার্থী ছত্রপতি শ্রী উদয়ন রাজে ভোসলে এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রী মোদী বলেন, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভূমিতে এই ভিড় ও উৎসাহ আরও একবার স্পষ্ট করে দিচ্ছে ফের একবার, মোদী সরকার। আমি জানুয়ারিতে যখন সোলাপুর এসেছিলাম, তখন আমি কিছু নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আজ আমি আপনার কাছে কিছু চাইতে এসেছি এবং আমি ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু দিতে চাই বলেই আমি চাইতে এসেছি। আমি সম্পদ চাই না, মানুষের আশীর্বাদ চাই। এই নির্বাচনে জনগণ আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়নের গ্যারান্টি নির্বাচন করবে। অন্যদিকে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা ২০১৪ সালের আগে দেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অপশাসনের গর্তে ঠেলে দিয়েছিলেন। তাদের কলঙ্কিত ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস আবার দেশে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। কংগ্রেসের কোন ধারণা নেই যে নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপে ইন্ডি জোট পরাজিত হয়েছে। একদিকে জনসেবক মোদী মাথা নিচু করে জনগণের কাছে যাচ্ছেন, ১০ বছর ধরে জনগণ মোদীকে পরীক্ষা করেছে, অন্যদিকে অহংকারী জোটের নেতারা মহাযুদ্ধ চালাচ্ছে। এমন একটা জোট যাদের নির্দিষ্ট মুখ নেই, নির্দিষ্ট নাম নেই তাদের হাতে এত বড় দেশ তুলে দেওয়া যায় না। ইন্ডি জোটের লোকেরা ক্ষমতা দখলের জন্য দেশকে ভাগ করছে। তাদের নতুন ফর্মুলা হলো ৫ বছরে ৫ প্রধানমন্ত্রী। প্রথম বছরে একজন প্রধানমন্ত্রী কোষাগার লুট করবেন, দ্বিতীয় বছরে আরেক প্রধানমন্ত্রী রাজকোষ লুট করবেন, এইভাবে পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী দেশ লুট করবেন। ভুয়ো শিবসেনার লোকেরা বলছে যে তাদের দলে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অনেক লোক রয়েছে এবং এক ভন্ড নেতা বলেছেন যে এক বছরে ৪ জন প্রধানমন্ত্রী করতেও কোনও সমস্যা নেই। ৫ বছরে ৫ প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলায় দেশ চলতে পারে না, কিন্তু অহংকারী জোটের কাছে ক্ষমতা দখলের এটাই একমাত্র পথ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্ডি জোটের নেতারা দেশ না চালিয়ে, খালি ক্ষমতার মসনদ ভোগ করতে চায়। মহারাষ্ট্রের মাটি জ্যোতিবা ফুলে, সাবিত্রী বাই ফুলে এবং বাবা সাহেব আম্বেদকরের মতো মহান সন্তান দিয়েছে যারা সমাজের দুর্বলতম অংশগুলিকে শক্তি ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বিজেপি শাসনকালে গত দশ বছরে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য যে পরিমাণ কাজ হয়েছে স্বাধীনতার পর, আগে কখনও এমনটা হয়নি। কংগ্রেস তার ৫০ বছরের শাসনকালে অনগ্রসর, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণীর মানুষের প্রতিটি অধিকারকে সীমিত করার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ব্রিটিশরা ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করেছে যাতে এই শ্রেণীর মানুষেরা কংগ্রেসের উপর নির্ভরশীল থাকে এবং তাদের ভোটের জন্য ব্যবহার করে, কিন্তু জনগণের সাথে মোদীর মনের সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই বিজেপি গত ১০ বছরে সত্যিকারের সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করেছে।

শ্রী মোদী বলেন যে আহমেদাবাদে মিল শ্রমিকদের মধ্যে পদ্মশালী সম্প্রদায়ের লোকেরা থাকত, আমি প্রতি সপ্তাহে তাদের বাড়িতে যেতাম এবং খাবার খেতাম । একপ্রকার পদ্মশালী সমাজের নুন খেয়ে আমি বড় হয়েছি। বিজেপি ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর করেছে, এসিসি-এসটি সংরক্ষণের মেয়াদ ১০ বছর বাড়িয়েছে, কারও অধিকার কেড়ে না নিয়ে সাধারণ শ্রেণির দরিদ্র মানুষকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে। এর পরেও দেশে কোনও অশান্তি হয়নি। এমনকি দলিত নেতারাও তা স্বাগত জানিয়েছেন। বিজেপির সামাজিক ন্যায়বিচারের পদ্ধতি হল সমাজে বিভেদ সৃষ্টি না করে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা। বিজেপি সরকার মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে গরবীরে সন্তানরাও ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তার হতে পারে। প্রত্যেক দরিদ্র্য মানুষের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সুযোগ নেই। সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য, বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে যুবকরা মারাঠি ভাষায় পড়াশোনা করেও ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তার হতে পারে। কংগ্রেস কখনই চায়নি দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষরা দেশ পরিচালনা করুক। এই কংগ্রেস ডক্টর বাবা সাহেব আম্বেদকর থেকে বাবু জগজীবন রাম পর্যন্ত প্রতিটি দলিত নেতাকে অপমান করেছে। বিজেপির সাথে মিলে যখন কংগ্রেস বিরোধী সরকার চলছিল তখন বাবা সাহেবও ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। বিজেপি সর্বদা অনগ্রসর শ্রেণী, দলিত এবং উপজাতিদের সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ২০১৪ সালে, দেশ বিজেপিকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে এবং এনডিএ একজন জনজাতির সন্তানকে রাষ্ট্রপতি করেছে। ২০১৯ সালে, যখন দেশের জনগন এনডিএ-এর পক্ষে আর্শীবাদ দেয়, তখন একজন জনজাতি কন্যাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম দশকে আজ সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া ও দলিতরা বিজেপি থেকে উভয় কক্ষেই নির্বাচিত হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৬০ শতাংশ মানুষ এই শ্রেণীর লোক যারা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।

মাননীয় মোদী বলেন, কংগ্রেস, ইন্ডি জোট এবং মহাবিকাশ আঘাড়ি ওবিসি প্রতিনিধিত্ব নিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। এই নেতাদের সেই মিথ্যে সবার সামনে চলে আসার পর তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং তাদের নির্বাচনী বক্তৃতায় মোদীর বিরুদ্ধে কেবল অবমাননাকর বক্তব্য দিচ্ছেন। বিরোধী নেতাদের কোনও লক্ষ্য নেই কিন্তু বিজেপির লক্ষ্য ও নিষ্ঠা দুটোই আছে। কয়েক দশক ধরে কংগ্রেস এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কংগ্রেস এবং তার সহযোগীরা এতটাই হতাশ যে তারা এখন বিজেপির বিরুদ্ধে সংরক্ষণের অবসান এবং সংবিধান পরিবর্তনের মিথ্যা প্রচার করছে। সত্য এটাই শুধু বিজেপিই নয়, বাবাসাহেব আম্বেদকরও এখন সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবেন না। মোদী সংরক্ষণ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস, ইন্ডি ও মহাবিকাশ আঘাড়ির এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করার জন্য জনগণ বিজেপিকে বিজয়ী করার মনস্থির করেছে। বাবা সাহেব আম্বেদকর ধর্ম ভিত্তিক সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে ওবিসি সংরক্ষণকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ শ্রেণীকে দিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস সারা দেশে একই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চায়। ৬০ বছরের কংগ্রেস শাসনে, এসসি, এসটি, ওবিসি সম্প্রদায়ের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। তারা কষ্টে, যন্ত্রণায় বেঁচে ছিল। মোদী তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। দরিদ্রদের কল্যাণে আমরা গত ১০ বছরে যে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি তা সকলের জন্য। অবহেলিত জনগোষ্ঠী গত ৫০ বছর ধরে বঞ্চিত থাকার পর অবশেষে প্রকল্পের সুফল ভোগ করছে। বিনামূল্যের রেশন, স্বাস্থ্যসেবা, স্থায়ী ঘর, শৌচাগার, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জল সবই এই জনগোষ্ঠীর অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা এবং স্বাধীনতার বহু বছর পর অবশেষে তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেস সরকার ১০০ টি জেলাকে পিছিয়ে পড়া জেলা বলে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু বিজেপি সরকার প্রতিটি গ্রাম এবং প্রতিটি জেলার প্রতিটি বিভাগের উন্নয়ন করেছে, যার ফলস্বরূপ এখন ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাই মোদী বলে, উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে ফলাফলও ঠিক হয়। কংগ্রেস সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে শেষ গ্রাম বলত, মোদী বলে প্রথম গ্রাম। বিজেপি ভাইব্রেন্ট ভিলেজ ইনিশিয়েটিভের অধীনে এই সমস্ত সীমান্ত গ্রামগুলির উন্নয়ন করেছে। মোদীর চোখ যদি কংগ্রেসের মতো ভোটব্যাঙ্কের দিকে থাকত, তাহলে আদিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া উপজাতিদের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনা তৈরি হতো না। বিজেপি দেশের বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের কল্যাণে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বকর্মা যোজনা বাস্তবায়ন করেছে। এই দরিদ্র কল্যাণ প্রকল্পগুলির সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছেন এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের লোকেরা। টয়লেট ও স্যানিটারি প্যাডের অভাবে দেশের বেশির ভাগ মেয়ে স্কুল ছেড়ে দিত কিন্তু মোদী তাদের সমস্যার সমাধান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সর্বাধিক সুবিধাভোগীরা এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের।

যশস্বী প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দী প্রযুক্তির এবং আমি নিজেও প্রযুক্তির একজন বড় সমর্থক। আমি সর্বদা জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্খা জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছি, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি গণতন্ত্রপ্রেমীদের জন্য বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর। যারা ইস্যু, সত্য এবং কাজের ভিত্তিতে বিজেপির সাথে মুখোমুখি রাজনীতি করতে পারছেন না, তারা ডিপফেকের সাহায্য নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই লোকজন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কণ্ঠে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই ধরনের সংবাদ ও ভিডিও-র মাধ্যমে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের উদ্দেশ্য কখনোই সফল হতে পারে না এবং সে কারণেই আগামী এক মাসের মধ্যে দেশে বড় ধরনের কিছু করতে যাচ্ছে এই লোকজন। দেশের গণতন্ত্র, সুখ, শান্তি ও ঐক্যের স্বার্থে জনগণের উচিত এসব ভুয়ো ভিডিও সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করা যাতে যারা এই অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসব ভুয়ো ভিডিও থেকে সমাজকে রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব লোকজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও করেছেন। তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণভাবে সত্যের সঙ্গে থাকবে।

শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেস শাসনকালে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছিল, কিন্তু বিজেপি সরকার সারা দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে শক্তিশালী করেছে, ২০টিরও বেশি এইমস তৈরি হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক মেডিকেল কলেজ খুলেছে এবং ৫০ হাজারেরও বেশি মেডিক্যাল আসন বৃদ্ধি হয়েছে। দেশে ৪০০টিরও বেশি আরোগ্য মন্দির তৈরি করা হয়েছে। দেশের জন ঔষধি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের ৫৫ কোটি নাগরিক আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এবং মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ৭০ বছরের বেশি বয়সী প্রতিটি শ্রেণির মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত-এর আওতায় আনা হবে। যারা ক্ষমতাকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে তারা জনগণের এই সমস্যা কখনো বুঝতে পারবে না। বিজেপি সরকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস সরকার গুদামে পচতে থাকা শস্য দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করতে অস্বীকার করেছিল। এটাই ছিল কংগ্রেসের সংবেদনশীলতা। কংগ্রেস, যারা তোষণের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, এক্স-রে করে এবং নিজেদের ভোটব্যাঙ্কে বিতরণ করার জন্য জনগণের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার ঘোষণা করেছে। মোদী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে মহিলাদের নামে বাড়ি দিয়েছে, জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলে সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে সুবিধা দিয়েছে, মহিলা ড্রোন পাইলট করেছে এবং তিন কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোদী সরকার প্রথমবারের মতো একটি পৃথক সমবায় মন্ত্রক তৈরি করে আখের এফআরপিতে রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ভারতের সামরিক বাহিনীকে স্বাবলম্বী হতে দেখে সামরিক অপশিঙ্গ গ্রাম ও সাতারার সামরিক পরিবার সবচেয়ে বেশি খুশি। এখন আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে ভারতে তৈরি অনেক অস্ত্র রয়েছে। যে অস্ত্র দালালদের দোকান মোদী এই ধরনের কাজ করে বন্ধ করে দিয়েছে, তাঁদের কাছে খুবই পছন্দের ছিল কংগ্রেস সরকার, তারা কখনও মোদীর প্রশংসা করবে না। ‘ওয়ান র্যা ঙ্ক ওয়ান পেনশন’-এর সামরিক পরিবারগুলিকে দেওয়া গ্যারান্টিও পূরণ করেছেন মোদী। কংগ্রেস ৪০ বছর ধরে ‘ওয়ান র্যারঙ্ক ওয়ান পেনশন’ থেকে বঞ্চিত করেছে সামরিক পরিবারগুলিকে। মাত্র ৫০০ কোটি টাকা দেখিয়ে কংগ্রেস বলেছিল যে তারা ‘ওয়ান র্যা ঙ্ক ওয়ান পেনশন’ আনবে কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের প্রাক্তন সেনাদের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে। দেশ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু কংগ্রেস দাসত্বের মানসিকতাকে বিকাশ লাভ করতে দেয়।

শ্রী মোদী বলেছেন, মোদী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক খাদিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। আমি বলি প্রথমে খাদি ফর নেশন আর এখন খাদি ফর ফ্যাশন। কংগ্রেস খাদিরও সর্বনাশ করেছে। কংগ্রেস জম্মু ও কাশ্মীরে বাবা সাহেবের সংবিধান কার্যকর করতে দেয়নি এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ তৈরি করে সংবিধানের অবমাননা করেছে। ৩৭০ ধারা সরিয়ে মোদী জম্মু ও কাশ্মীরের বঞ্চিত সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সংরক্ষণের অধিকার দিয়েছে। এই কারণেই সমগ্র ইন্ডি জোট বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারের আরেকটি উপায় হল আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করা। কয়েক বছর ধরে, কংগ্রেস শুধুমাত্র কয়েকটি শহরের উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছিল কিন্তু এনডিএ সরকার দেশের প্রতিটি কোণে উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি সরকার গত ১০ বছরে পান্ডারপুরের রেল সংযোগের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। বিজেপি সরকার ২৩ বছর ধরে অমীমাংসিত পুনে-ফলকান রেললাইনের নির্মাণ সম্পন্ন করেছে, হায়দ্রাবাদ-সোলাপুর, সোলাপুর-সাংলি-বিজাপুর সহ বেশ কয়েকটি হাইওয়ে নির্মাণ শুরু করেছে এবং সোলাপুরে মহারাষ্ট্রের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন দিয়েছে। সোলাপুরে সমৃদ্ধি মহামার্গের মতো হাই-টেক রাস্তার কাজও করা হচ্ছে। এখন অন্যান্য রাজ্য থেকেও বিপুল সংখ্যক ভক্ত আসছেন। তরুণদের জন্য এখানে আস্থা ও পর্যটন সম্পর্কিত নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার জনগণের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি স্থানীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করে দেশে আবারও মোদী সরকার গঠন করার এবং একটি বিকশিত ভারত গড়তে অবদান রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *