BRAKING NEWS

সিপিএম দেশ বিক্রি করতে চাইছে, নির্বাচনী ইস্তেহারে তার প্রতিফলন দেখা গেছে, দুর্ভাগ্যজনক বললেন বিপ্লব

আগরতলা, ১৬ এপ্রিল : সিপিএম দেশ বিক্রি করতে চাইছে। নির্বাচনী ইস্তেহারে তার প্রতিফলন দেখা গেছে। রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র সহ পারমাণবিক অস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূল নিয়ে সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তেহারকে হাতিয়ার করে এভাবেই সুর চড়ালেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর কটাক্ষ, পাকিস্তান ও চীনকে খুশি করার জন্যই সিপিএম এমন রাষ্ট্রবিরোধী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। কংগ্রেস স্পষ্ট করুক, ওই ইস্তেহারে তাঁরাও কী একমত।

আজ আগরতলায় একটি হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরায় ইন্ডি জোটের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের সমঝোতায় যাঁরা তখন বিরোধীতা করেছিলেন, আজ তাঁরাই হাতে হাত মিলিয়েছেন। ত্রিপুরার মানুষ ইতিহাস জানেন, তার প্রতিফলন ভোটের ফলাফলেই মিলবে। 

এদিন তিনি ইন্ডি জোটের রাজ্যস্তরে ইস্তেহার প্রকাশের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি সারা দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে আগামীদিনের রূপরেখা ইস্তেহারে প্রকাশ করেছে। সেখানে ইন্ডি জোট রাজ্যস্তরে আলাদা আলাদা ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, বিজেপি জোট এনডিএ অভিন্ন কর্মসূচী স্থির করে অতীতে ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল। কিন্তু, ইন্ডি জোটে তেমন কিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাঁর প্রশ্ন, বিহারে আরজিডি নেতা তেজস্বী যাদব যদি সবকটি আসনে জিতে যান তবে কী তিনি প্রধানমন্ত্রী কে হবেন স্থির করতে পারবেন? তিনি বিদ্রুপের সুরে বলেন, ইন্ডি জোটের নেতারা লোকসভা নির্বাচনকে খুবই হাল্কাভাবে নিয়েছেন। ফলে, ফলাফলও তেমনই পাবেন। 

বিপ্লব আজ নির্বাচনী ইস্তেহার ইস্যুতে সিপিএম-কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়ুক চাইছে সিপিএম, ইস্তেহারে প্রকাশ এমন বিষয়কে নিয়ে বিপ্লব গভীর চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সিপিএম-কংগ্রেসের জোট দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। তাঁরা দেশবাসীর নিরাপত্তার বদলে পাকিস্তান ও চীনের জন্য ভাবছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র সহ পারমাণবিক অস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে বলে সিপিএম ইস্তেহারে ঘোষণা দিয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, সিপিএম দেশের নিরাপত্তা নিয়ে একদমই চিন্তিত নয়। 

বিপ্লবের কথায়, পোখরান পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে সমগ্র দেশবাসী গর্ব বোধ করেন। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে দেশ পারমাণবিক শক্তিতেও শক্তিশালি হতে পেরেছে। তাতে, তখন বিশ্বের বড় বড় দেশ ভারতের উপর অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা লাগিয়েছিল, তাও উপেক্ষা করা হয়েছিল। দেশ তখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হয়নি বলেই আজ অন্যতম শক্তিশালি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে। তাঁর সাফ কথা, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমঝোতা হবে না। তাই, সিপিএম-কংগ্রেসের জোটকে নির্বাচনে সঠিক রাস্তা দেখান, গণদেবতাদের উদ্দেশ্যে আবেদন রাখেন তিনি। 

তাঁর দাবি, সিপিএম কখনোই দেশকে ভালবাসে না। তাঁরা সকলেই দল সর্বস্ব। বিপ্লব জোর গলায় বলেন, সিপিএম শাসনের অবসানে ত্রিপুরায় যুবরা আশার আলো দেখছেন। তাঁদের মধ্যে স্বরোজগারি মানসিকতা তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শক্তিশালি যুব ভারত চাইছেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০১৪ সালের পর থেকে স্টার্টআপ ব্যবসা শুরু করে এক কোটি টাকার অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। সেখানে সিপিএম চীন ও পাকিস্তান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে, কটাক্ষ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসীরা স্পষ্ট করুন, সিপিএমের ইস্তেহারে আপনারাও কী একমত, জানতে চেয়েছেন বিপ্লব। তাঁর সাফ কথা, সিপিএম-কংগ্রেস নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে দেশকে বিপন্ন করতে চাইছে। বিজেপি কখনোই দেশের স্বার্থে সমঝোতা করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *