আগরতলা, ২৭ জুলাই (হি. স.) : ত্রিপুরার যুবকের মৃতদেহ বাংলাদেশে উদ্ধার হয়েছে। মৃতের ভাই তাঁকে শনাক্ত করেছে। আগামীকাল শুক্রবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় নিলুয়া এলাকার বাসিন্দা সাধন বৈদ্যের ছেলে আশীষ বৈদ্যের (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিলোনিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় সাইকেল মেকানিক্স আশীষ বৈদ্য গতকাল বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় বাংলাদেশের ফেনী জেলায় ছাগলনাইয়া যশপুর এলাকায় একটি মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিজিবি-কে বিএসএফের পক্ষ জানানো হয়। এরপরই দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ওই মৃতদেহ নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসে।
ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফ কমান্ডার রাকেশ ঠাকুর ও বিজিবির যশপুর কমান্ডার সুবেদার হাসিবুর রহমান, ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায়, রিশুম আউট পোস্ট-ফাঁড়ি থানা ইনচার্জ চাকলা জামাদিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, মৃতদেহ বাংলাদেশের অংশে উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হোক। সে মোতাবেক বিজিবি ছাগলনাইয়া থানায় খবর পাঠায় এবং পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিলোনিয়া থানার পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতের ভাই ভূট্ট বৈদ্য মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। আগামীকাল ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ওই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিলুয়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, আশীষ বাংলাদেশে কিভাবে গেলেন এবং সেখানে গিয়ে কি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে খুন করে দেহ বাংলাদেশে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, এমন অনেক প্রশ্নই পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। অবশ্য, এখনো পর্যন্ত মৃতের পরিবারের সদস্যদের কোন বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের মনে কি সন্দেহ দানা বেঁধেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।